এই মুহূর্তে




দলের পদ খোয়া যেতেই বিপ্লবী শান্তনু, তবে আরজি করে গিয়ে শুনলেন ‘গো-ব্যাক”

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: আর জি করের ঘটনা(R G Kar Incident) নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। কিন্তু যে সব কথা বলেছিলেন তা পছন্দ হয়নি দলনেত্রীর। এর জেরে দলনেত্রী নিজেই গতকাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘কয়েক জন বলছেন, তাঁরা মুখপাত্রের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। জেনে রাখুন, আমরা তাঁদের আগেই সরিয়ে দিয়েছি। এই চক্রান্তের মধ্যে তাঁদেরও কেউ কেউ ছিল।’ সেই ঘোষণার পরেরদিনই অর্থাৎ এদিন দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তৃণমূলের(TMC) দলীয় মুখপাত্রের(Party Spokesperson) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে, মানে শান্তনু সেনকে(Shantanu Sen)। তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়ে দেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের যে মুখপাত্রদের তালিকা রয়েছে সেখান থেকে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা বেশ কয়েকদিন আগেই করা হয়েছে। আর জি করের যে ঘটনা চলছে, সেটা শুরু হওয়ার পরপরই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’ যদিও তারপরেও শান্তনু জানান, তিনি তৃণমূল ছাড়বেন না। কিন্তু ওই দাবির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ পাল্টি খেয়ে আর জি করে গিয়ে মাইকিং করে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন, শুক্রে হবে না কোনও বাংলা বনধ, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল নবান্ন

দল তাঁকে দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে সেটা জানতে পেরে এদিন শান্তনু সেন জানিয়েছিলেন, ‘সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম, তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে সৈনিক আমি। তৃণমূলের সব সিদ্ধান্ত আমি শিরোধার্য করেছি, আজও করেছি। আমি কখনও দলবিরোধী কোনও কথা বলিনি। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে তো কখনই নয়। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমি কোনও দলবিরোধী কাজ করিনি। কিন্তু তৃণমূল জমানায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হলেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক কিছু নিয়েই দলনেত্রীর কাছে সঠিক খবর পৌঁছায় না। দুঃখ লাগে, যখন দেখি, অন্য দল থেকে এলে বা সেই দল এই দল করে আমাদের দলে এলে, বা নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বললেও আমাদের দলে সম্মানিত হয়। আর প্রথম দিনের দুঃসময়ের সাথী নেতা-কর্মীরা অনেক সময় রোষের মুখে পড়েন। আমি তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম, আজও তৃণমূলের সঙ্গেই আছি।’

আরও পড়ুন, ইন্দিরাকে বিশেষ পুলিশ পদক, নিঃশব্দে রাজ্যের বার্তা রাজ্যপালকে

সেই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কিন্তু দেখা গেল শান্তনু সেন চূড়ান্ত দলবিরোধী অবস্থান নিয়ে নিলেন। তিনি এদিন বিকালে সোজা চলে গেলেন আর জি কর হাসপাতাল চত্বরে। আর সেটাও কারও অনুমতি না নিয়ে। তিনি ওই হাসপাতালের কোনও পদাধিকারী নন, তিনি এখন আর জনপ্রতিনিধিও নন, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিও নন। তারপরেও সেখানে গিয়ে তিনি মাইকিং শুরু করেন। মাইকিং করেই তিনি বার্তা দেন, তাঁর প্রতিবাদ প্রাক্তন ছাত্র সংসদের তরফে। শুধু চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা নয়, বুধবার রাতের হামলার ঘটনায় জড়িতদেরও এদিন রাতের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। কার্যত এই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার সামিল। আর তাই শান্তনুর এই হঠকারী পদক্ষেপে এখন চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, বেশ কিছু বিষয় নিয়ে শান্তনুর ভূমিকা ভাল ভাবে নেয়নি দল। সেই কারণেই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তবে তাঁকে দলের মুখপাত্রের পদে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেই পদ থেকেও এখন তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই পরেই মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন শান্তনু।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

আরজি কর কাণ্ডে মহানগরীর পথে ‘ইনসাফ’ চেয়ে রিক্সা চালকদের প্রতিবাদ মিছিল

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ

‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর