নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে হাতাহাতির ঘটনায় শো কজের উত্তর জমা দিলেন তৃণমূলের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম বসু। সেদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ও শোকোজ করেন কলকাতা পৌরসভার চেয়ারম্যান মালা রায়(Mala Roy)। একইসঙ্গে শোকজ করা হয়েছিল বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষকেও ।সজল ঘোষের পাশাপাশি তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু ও এদিন শো কজের উত্তর জমা দেন। তবে তিনি নিজের অবস্থানে অনড় থেকে একই কথা বললেন যে তিনি সজল ঘোষের উপরে আক্রমণ করেননি। তিনি শুধু সজলকে সরানোর চেষ্টা করেছিলেন।
তাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কি ক্ষমাপ্রার্থী এই ঘটনায়। তখন অসীম বসু বলেন যে আমি কি উত্তর দিয়েছি সেটা ক্যামেরার সামনে বলবো না । তবে সজল ঘোষ সব সময় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন।অসীম বসুর অভিযোগ যদি কেউ আমার মা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) অসম্মান করে তখন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হবে বলে ফের হুশিয়ারি দেন ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু। তার দাবি যে সজল ঘোষের ব্যাবহার অধিবেশনের ভিতরে সব সময় এই ভাবেই থাকে। সব সময় মানুষের মানসিক অবস্থা এক থাকে না। সেই কারণে একটা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হয় বলে সেদিনের ঘটনার পরিপেক্ষিতে এই পাল্টা অভিযোগ করেন অসীম বসু(Asim Basu)।মাসিক অধিবেশনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেও নিজের অবস্থানে অনড় ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ(Sajal Ghosh)। এদিন পৌর চেয়ারম্যান মালা রায়ের শো কজের উত্তর জমা দিতে কলকাতা পৌর সংস্থায় আসেন সজল ঘোষ। সরাসরি চেয়ারম্যানের ঘরে গিয়ে শো কাজের উত্তর জমা দেন সজল ঘোষ।
যেহুতু মালা রায় নিজের দফতরে উপস্থিত ছিলেন না। তার ফলে তিনি এদিন তার দফতরের আধিকারিকের হাতে শোকজের উত্তর জমা দেন। নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে এদিন সজল ঘোষ বলেন যে আমি নিজেই আক্রান্ত হয়েছি। আমার কোনই দোষ ছিল না। তার পরেও আমি ক্ষমা প্রার্থী যদি কোনো কিছু হয়ে থাকে। কারণ আমি চোর বলেছি। এদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে তার জন্য বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মুখ খুলেন তিনি। সজল ঘোষ বলেন, আমি জানি না তারা কার সমর্থনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ সেদিন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তার জন্য বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেস কে ধন্যবাদ জানান ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।