এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

১ বছরে ২০ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে রেকর্ড SSKM হাসপাতালের

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্তম্ভিত বাংলার(Bengal) স্বাস্থ্যমহল(Health Sector)। স্তম্ভিত চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে আমজনতা। স্তম্ভিত গোটা দেশও। একটার পর একটা বছর ঘুরছে আর নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছে রাজ্যের এই এক নম্বর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল(Super Speciality Hospital)। বাংলার মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারনা হচ্ছে, যত কষ্টই হোক না কেন, এই হাসপাতালে গেলেই মিলবে সেরার সেরা চিকিৎসা। কার্যত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরেই পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে চূড়ান্ত উত্তরণের পরে এখন বাংলার মানুষের মনেও স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার(Kolkata) SSKM PG Hospital যাকে অনেক মানুষই PG হাসপাতাল নামেই চেনেন। সেই হাসপাতালই এক নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলেছে নিঃশব্দে। এক বছরে এই হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পেয়েছেন ২০ লক্ষ মানুষ যার মধ্যে অন্তত দেড় লক্ষ মানুষ ভিন রাজ্যের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন আবারও জয়জয়কার মমতার বাংলার, এল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জোড়া শিরোপা

রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান বলছে ২০২২ সালে ২০ লক্ষের বেশি আউটডোর রোগী দেখে, আর ১.১৫ লক্ষ রোগীকে ইন্ডোরে দেখে রেকর্ড করে ফেলেছে SSKM Hospital। শুধু তাই নয়, চলতি বছরেই এখনও পর্যন্ত এখানে এসে ডাক্তার দেখিয়ে গিয়েছেন 5 লক্ষের বেশি রোগী! প্রথম ৩ মাসের এই ছবিটাই বলে দিচ্ছে এই বছরও নিজের রেকর্ড আবার নিজেই ভেঙে দিতে চলেছে এই হাসপাতাল। আর এই রোগী বেড়ে চলার নেপথ্য যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টাই কাজ করছে সেটা এক বাক্যে স্বীকার করছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সেখানে চিকিৎসা করাতে আসা আমজনতা। কার্যত মমতার ওপর আস্থা, ভরসা, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা এবং এই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার ওপর অন্ধ বিশ্বাস প্রতি বছর, প্রতিটা মাসে, প্রতিটা দিনে এখানে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে, দেশের নানা প্রান্ত থেকে রোগীদের ভিড় আছড়ে পড়ছে। বছর বছর নয়া রেকর্ড গড়ছে।

আরও পড়ুন বাংলাকে বঞ্চিত করে ১০০ দিনের প্রকল্পে মজুরি বাড়াল কেন্দ্র

SSKM Hospital-এ এই রোগীর ভিড় ঠিক কীভাবে বেড়েছে মমতার জমানায় সেটা একটা পরিসংখ্যান দেখলেই চমকে উঠবেন সকলে। ২০১৭ সালে এখানে বছরে নতুন আউটডোর টিকিটের রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লক্ষ ২৯ হাজার ৪২১ জন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্রি মেডিসিন চালু করার পর একলাফে তা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায় পরের বছরই। ’১৮ সালে রোগীর সংখ্যা হয় ১২ লক্ষ ২ হাজার ৪৪৯ জন। তারপর থেকে উত্তরোত্তর রোগী বেড়েছে। কোভিডের জন্য ব্যতিক্রম ২০২০ সাল। সেবারই শুধু আউটডোরে আসা রোগীর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও নীচে নেমে যায় (৯,২৭,৫৯৭)। তবে তা সাময়িক। ২০২১ সালেই স্বমহিমায় ফেরে পিজি। বাৎসরিক আউটডোর রোগীর সংখ্যা পেরিয়ে যায় ১৪ লক্ষ। আর ’২২ সালে? ২০ লক্ষ ১৭ হাজার ১৫০! সরকারি ক্ষেত্রে জড়িত নন এমন চিকিৎসকেরাও স্বীকার করছেন, এত উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো, এত বিভাগ, নানা রোগের এত ক্লিনিক রাজ্যের আর কোথাও কোনও হাসপাতালে নেই, তা সে সরকারি হোক কী বেসরকারি। আর সেই জন্যই হাজার ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হলেও মানুষ এখানে চলে আসছেন চিকিৎসা করাতে। শুধু যে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তাই নয়, ত্রিপুরা, কেরল, রাজস্থান, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকেও রোগীরা আসছেন। সব থেকে বেশি ভিন রাজ্যের রোগী আসছেন ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। আসছেন বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের রোগীরাও। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির সাফল্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর