নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’! বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অবস্থা হয়েছে অনেকটা সেরকম। একে দলেরই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন, তাঁকে নেতা বলে মানেন না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তবুও দলের মধ্যে নিজের গুরুত্ব ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারী ও সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। আর এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অনেকে প্রশ্ন করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে নিজের দর বাড়ানোর জন্য মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন কেউ সুকান্ত মজুমদারকে বলেননি মধ্যস্থতা করার জন্য, না আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা, না সরকার। তবুও গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল হয়ে মধ্যস্থতা করার কথা বলছেন কেন সুকান্ত মজুমদার?
উল্লেখ্য গত চারদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে টেট পাশ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থানে বসেছেন। আমরণ অনশন শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। ইতিমধ্যে অনশন অবস্থানের ৫২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। পার হয়ে গিয়েছে ধর্না অবস্থানের ৭৩ ঘণ্টা। চাকরির দাবিতে এখনও অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের দাবির প্রতি রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী সহানুভূতিশীল বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার পরেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, চাকরি নয়, রাজ্য সরকারের পতনই লক্ষ্য চাকরিপ্রার্থীদের। আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চান সবার যোগ্যতার নিরিখে চাকরি হোক। এখানে চাকরি দেয় পর্ষদ। একজন অসুস্থ হলেই কি তাঁকে চাকরি দেওয়া যায়! যোগ্য কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ইন্টারভিউয়ে বসুন। একদল বিরোধী চান না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন। চান রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হোক। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এটা করা হয়েছে। তবে আমরা চাইছি, স্বচ্ছভাবে, নৈতিকভাবে নিয়োগ করতে।’
আরও পড়ুন: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালেন সুকান্ত