এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বদলি নেওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা পেতে চলেছেন তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা(School Teachers) এবং স্কুলকর্মীদের(School Workers) জন্য সুখবর। যারা জেনারেল ও মিউচুয়াল ট্রান্সফার(General and Mutual Transfers) নিয়ে ইতিমধ্যেই অন্য স্কুলে চলে গিয়েছেন তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া অর্থ এবার তাঁদের হাতে তুলে দিতে চলেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। মূলত জেনারেল ও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নেওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের General Provident Fund বা GPF’র যে সুদের(Interest) টাকা বকেয়া ছিল সেটাই এবার দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই মর্মে খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর(Education Department)। সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলির যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা জেনারেল ও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নেওয়ার পরে তাঁদের GPF’র অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হলেও সুদ পাচ্ছিলেন না, তাঁরাই এবার উপকৃত হতে চলেছেন রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে।

রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, বদলির পর GPF’র অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হলেও রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের সুদ পাচ্ছিলেন না, যা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে। এই মর্মে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরেও বিস্তর অভিযোগ আসছিল। এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। দ্রুত এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। শিক্ষক ও শিক্ষককর্মীরা তাঁদের বকেয়া সুদের অর্থ এবার পেয়ে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ২০১৫ সাল থেকে হাইস্কুল স্তরে জেনারেল ট্রান্সফার চালু করা হয়। ২০১৯ সালে স্পেশাল ট্রান্সফার ব্যবস্থা চালু করা হয়। ঠিক তার পরের বছর ২০২০ সালে অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফারের পোর্টাল চালু করা হয়। আর এই বদলি প্রক্রিয়ার সরলীকরণের জন্য ২০২১ সালে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল চালু করে রাজ্য সরকার। সাধারণত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্কুল বদলির কয়েক বছর বাদে তাঁদের GPF’র অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা হয়। সেখানে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল যে তাঁদের অ্যাকাউন্টে শুধুমাত্র ৬ মাসের সুদ দেওয়া হয়েছিল। বাকিটা আর জমা পড়েনি। সেটাই এবার দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের তথ্য বলছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক ও হাইস্কুল স্তরে মোট বদলির সংখ্যা ৬০ হাজারের মতো। স্কুল বদলি হলেও GPF’র অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ বছর লেগে গিয়েছে। তবে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হলেও দেখা যায় GPF’র সুদ বাবদ মাত্র ৬ মাসের টাকা জমা পড়েছে। বাদবাকি টাকা জমা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষক সংগঠনগুলি ডিআই অফিস থেকে শিক্ষা দফতরে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে। সেখানে দাবি করা হয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রাপ্য অর্থ অবিলম্বে দিতে হবে সরকারকে। বর্তমানে সমস্ত রকম ট্রান্সফার রাজ্য সরকার বন্ধ রেখেছে। ট্রান্সফারের পোর্টাল বন্ধ করা হয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এখনও পর্যন্ত তা নতুন করে খোলা হয়নি। তবে যাদের সুদের টাকা বাকি ছিল তাঁরা এবার তাঁদের বকেয়া টাকা পেয়ে যেতে চলেছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর