নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের দু’দিনের দিল্লি অভিযান ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ২ ও ৩ অক্টোবরের সব কর্মসূচিতেই রুদ্রমূর্তি দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্ত দিল্লি পুলিশ। কৃষিভবনের সামনে থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্ব আটক করা হয়। ছাড়া পেয়েই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এক লক্ষ কর্মী-সমর্থক নিয়ে ‘রাজভবন চলো’ অভিযান করবে তৃণমূল।
এরপরেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতির পর্ব। রাজভবনে জনসমাগমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন ও জেলা নেতৃত্বকে। জেলায় জেলায় কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের ছাত্র সংগঠন, মহিলা সংগঠন সহ সকল নেতাকর্মীরা অভিযানে নামবেন। এই অভিযান নিয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
জেলাগুলির প্রত্যেকটি ব্লক, ওয়ার্ড ও অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে এই মর্মে আলোচনাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কর্মীদের নিয়ে ‘রাজভবন ঘেরাও’ করা হবে। কলকাতা ও তার কাছের জেলাগুলির নেতা-কর্মীদেরই মূলত এই সমাবেশে জমায়েত করতে বলা হয়েছে। তবে অন্য কোনও জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে চাইলেও আসতে পারেন।
দিল্লি অভিযান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে যন্তর মন্তরে কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিল ভুক্তোভোগীদের আট জন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা না করায় কৃষিভবনেই অবস্থান শুরু করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাত্রি ৯টা নাগাদ কৃষিভবনে অবস্থানরত তৃণমূল কর্মীদের গলাধাক্কা দিয়ে বের করে অমিত শাহের ‘অধীনস্ত’ দিল্লি পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে দলের নেতাদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। অভিষেক-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁদের মোবাইল ফোনও। রাত ১১টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে।