নিজস্ব প্রতিনিধি: কালীঘাটের বাড়িতে পা পিছলে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ে যাওয়ার পরেই তাঁর কপাল ও নাক ফেটে গলগলিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। তড়িঘড়ি করেই মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁকে ভর্তি করা হয়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের চিকিৎসায় পাঁচ চিকিৎসককে নিয়ে বিশেষ মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গুরুতর জখমের কথা জানতে পেরেই হাসপাতাল চত্বরে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা-সহ রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে যান উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। যদিও প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনে গড়িয়াহাটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠান শেষে গড়িয়াহাট চত্বরে জনসংযোগ সারেন তিনি। ওই কর্মসূচি শেষে কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছন। বাড়ি ফেরার পরেই ট্রেড মিলে এক্সারসাইজ করতে থাকেন। আচমকাই পা পিছলে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। কপাল এবং নাক ফেটে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন নিরাপত্তা রক্ষীরা।
তড়িঘড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ে গিয়ে মাথায়ও আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রক্তক্ষরণ বন্ধে কপালে পাঁচটির মতো সেলাই করা হয়। কোনও অভ্যন্তরীণ চোট রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।