নিজস্ব প্রতিনিধি: তাজপুর সমুদ্র বন্দর গড়ার দায়িত্ব পাচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা। বন্দর গড়ার জন্য নতুন করে আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘তাজপুরে বন্দর গড়তে আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। ইচ্ছুকরা ওই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা যাবে।’
রাজ্যে ব্যবসার প্রসারে এক হাজার একর জমির উপরে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রথমে কথা হয়েছিল, রাজ্য ও কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে তাজপুরে বন্দর গড়ে তোলা হবে। কিন্তু মোদি সরকারের টালবাহানার ফলে পরে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, যৌথ উদ্যোগে নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার একাই তাজপুরে বন্দর তৈরি করবে। সেই মতো ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকে রাজ্য সরকার। গৌতম আদানির সংস্থা আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, জিন্দল গ্রুপ-সহ একাধিক সংস্থা ওই টেন্ডারে অংশ নেয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর (Tajpur Port) তৈরির জন্য ইনটেন্ট লেটারও দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরি করবে আদানি গোষ্ঠী। এতে প্রত্যক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার জনের।
কিন্তু গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্দর গড়ার বিষয়ে আদানি গোষ্ঠীর কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি। তাতে চটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, তিনি সিদ্ধান্ত নেন, কারও জন্য অপেক্ষায় না থেকে নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হবে। এদিন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাজপুর বন্দরে পরিকাঠামো তৈরি। গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে অংশগ্রহণ করা যাবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কী আদানিদের বাদ দিয়েই তাজপুরে নতুন করে সমুদ্র বন্দর গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার?’