নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপূজো শেষ, কালী পুজো শেষ, এখন আছে জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজো। তবে কার্তিক এবং জগদ্ধাত্রী পুজো জায়গা বিশেষে বিখ্যাত। যাই হোক, আজ কার্তিক পুজো। বিশেষত এই পুজো বাঁশবেড়িয়ার একটি বিখ্যাত পুজো। হরেক রকমের দুর্গার ছেলের মূর্তি এই সময় মুগ্ধ করে গোটা রাজ্যবাসীকে। কার্তিক পুজোর এমনই একটি গল্প, আজ আপনাদের কাছে শেয়ার করব।
গল্পটি হল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের করিশুন্ডা গ্রামের শান্তাশ্রম হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অনিক হাটির। যিনি কিনা আর পাঁচটা ছাত্রদের মতই পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। শুধুমাত্র পড়াশোনাই নয়, ১৫ বছর বয়সে তাঁর হাতের তৈরি কার্তিক মূর্তি দেখলে হার মেনে যাবে জনপ্রিয় মৃৎ শিল্পীরাও। জানা গিয়েছে, মূর্তি গড়া কোথাও শেখেনি সে। অনিকের বাবা আশিষ হাটি পেশায় একজন মৃৎশিল্পী। বাবার হাতের কাজ দেখে দেখেই মূর্তি বানানো রপ্ত করে ফেলেছে অনিক। শুক্রবার কার্তিক পুজো, উপলক্ষে এই বছরও তাঁর হাতের কার্তিক ঠাকুর অবাক করেছে প্রতিবেশি দের। বাবার ঠাকুর তৈরি করা দেখে নিজেই তৈরি করল কার্তিক ঠাকুর। তাঁর বাবা আশিষ হাটি একজন বড় মাপের মৃৎশিল্পী। কয়েক বছর আগে কুমারটুলিতে তিনি ঠাকুর তৈরির কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে বসেই দূর্গা ঠাকুর, কালি ঠাকুর সহ অন্যান্য মূর্তি তৈরি করেন। বাবা যখন মূর্তি তৈরি করেন ছেলে পাশে বসে দেখতে দেখতে নিজে তৈরি করে ফেলে একেকটা মূর্তি।
তেমনই কার্তিক ঠাকুর বানানো বাবার থেকে শেখা তাঁর। দেখে কেউ বলতে পারবে না যে ১৫ বছরের এক বালক এই মূর্তি তৈরি করেছে। তবে বড় হয়ে সে সরকারি চাকরি করতে চায়, কিন্তু বড় চাকরি পেলেও অবসর সময়ে মূর্তি বানাবে বলে বিশ্বাস অনিকের বাবার। যে বয়সে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা এবং পড়াশোনায় নিমজ্জিত থাকে, সেই বয়সে তাঁর মূর্তি বানানোর নেশা অবাক করেছে সবাইকে।