নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আধুনিক ভারতে জনপ্রতিনিধিদের সংজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিত্ব এখন আর সমাজসেবা নয়। বরং ক্ষমতা আর অর্থের বড় আস্ফালন। যার কাছে অর্থ রয়েছে, ক্ষমতা তাঁর তালুর মুঠোয়। সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ২৭ সাংসদই আরবপতি। অর্থাৎ ১০০ কোটি টাকার বেশি মালিক। আর তাদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী তেলেঙ্গানার শাসকদল ভারত রাষ্ট্র সমিতির সাংসদ বান্দি পার্থসারধি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যেতে পারে। ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মালিক তিনি।
শুক্রবার বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদদের সম্পত্তি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মামলা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদের উচ্চক্ষের ২৭ সাংসদ অর্থাৎ ১২ শতাংশ সাংসদই আরবপতি বা ১০০ কোটি টাকার বেশি মালিক। সবচেয়ে তিন ধনী সাংসদ হলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির বান্দি পার্থসারধি (৫,৩০০ কোটি টাকা), ওয়াইএসআরসিপি’র আল্লা অযোধ্যা রামি রেড্ডি (২,৫৭৭ কোটি টাকা) ও সমাজবাদী পার্টির জয়া বচ্চন (১,০০১ কোটি টাকা)। রাজ্যসভার সাংসদদের গড় সম্পত্তি ৮০.৯৩ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশের ৫, তেলেঙ্গানার ৩, মহারাষ্ট্রের ৩, দিল্লির ২, পঞ্জাবের ২, মধ্যপ্রদেশের ২, হরিয়ানার ১,
এডিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যসভার ২২৫ সাংসদের মধ্যে ৭৫ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি তিন জন সাংসদদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগে মামলা চলছে। আর ৪১ জন বা ১৮ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি ধারায় মামলা চলছে। তার মধ্যে রয়েছে, খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মতো অভিযোগ। চার সাংসদের বিরুদ্ধে খুন ৯৩০২ ধারা) এবং দুই সাংসদের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে।