নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবনের একটি ফাঁড়ি দখল করল তিনজন। না, চোরাচালানকারী নয়। নয় সন্ত্রাসবাদী। এরা সত্যিকারের শের। আর তিন ডোরাকাটার টহলদারিতে আটকে ছিলেন আধিকারিক ও কর্মীরা।
ভীত এবং সন্ত্রস্ত হয়ে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়েছিলেন দীর্ঘ ২০ ঘন্টা। হাড় হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চন্দেশ্বর টহল ফাঁড়িতে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ ফাঁড়ির পুকুর পাড়ে প্রথমে দু’টি বাঘের দেখা পাওয়া যায়। পরে সেখানে আসে আরও একটি বাঘ। ওই চত্বরে তিন ডোরাকাটা (TIGER) ছিল শনিবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত। কখনও তারা দাঁড়িয়ে থেকেছে, কখনও বিশ্রাম নিয়েছে। আবার কখনও বা চালিয়েছে টহলদারি। আর তাদের কাণ্ডে দীর্ঘ প্রায় কুড়ি ঘন্টা স্বেচ্ছায় আটক ছিলেন ফাঁড়ির ৭ আধিকারিক এবং কর্মচারী।
একনজরে: ভীত এবং সন্ত্রস্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়েছিলেন দীর্ঘ ২০ ঘন্টা।
ফাঁড়ির আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বাড়ির পাশেই রয়েছে অভয়ারণ্য। সামনের পুকুরে তারা মিষ্টি জল পান করতে প্রায়শই আসে। তবে বাঘেরা এসে এতক্ষণ থাকার ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম। জানা গিয়েছে, বাঘগুলির ছবি এবং ভিডিও তুলে রাখা হয়েছে।
কেন এসে একসঙ্গে এতক্ষণ ছিল তিনটি বাঘ? ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক শেখ বলেন, এই সময় বাঘের প্রজনন মৌসুম চলে। সেই কারণেই দীর্ঘক্ষণ একসঙ্গে থাকার ঘটনা হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, এরপরে বাঘগুলি গভীর বনে চলে যায়।