নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: চার দশক আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট কাল রাত্রিতেই নৃশংসভাবে সপরিবারে খুন হতে হয়েছিল বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ইতিহাসের ওই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ৪৮ বছর পূর্তি হল মঙ্গলবার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। অথচ ৪৮ বছর বাদেও অধরা মুজিবের পাঁচ খুনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে দুই দেশে বহাল তবিয়তে বসবাস করছেন দুই খুনি। বাকি তিন খুনির সর্বশেষ অবস্থান সংক্রান্ত তথ্যই নেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।
৪৮ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করেছিলেন বাংলাদেশেরই কিছু ক্ষমতালোভী সামরিক আধিকারিক। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ছিলেন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র এজেন্ট মেজর শরিফুল হক ডালিম। মুজিবকে হত্যার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে খুনিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেছিলেন পাকিস্তানের দালাল হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বিভিন্ন দেশে কূটনীতিবিদ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিল খুনিরা।
শেক হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে আসীন হওয়ার পরে শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার। মোট ১২ জন প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। দু’দফায় ছয় খুনিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। আর এক খুনি আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায় মারা গিয়েছে। বেঁচে রয়েছে পাঁচ খুনি। তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন রাশেদ চৌধুরী আর কানাডায় নূর চৌধুরী। দুজনকেই বাংলাদেশ সরকারের হাতে না তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে দুই দেশের সরকার। বাকি তিন খুনি মেজর শরিফুল হক ডালিম, আবদুর রশিদ ও মোসলেমউদ্দিন। ওই তিন খুনি সম্পর্কে কোনও তথ্যই নেই বাংলাদেশ সরকার ও ইন্টারপোলের কাছে। ফলে আদৌ জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধু খুনিদের শাস্তি হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।