নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে আর নেটা নাগরিকদের হাসির খোরাক হওয়া থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত ভ্যালেন্টাইনস দিবসকে গরু আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল মোদি সরকারের পশু কল্যাণ বোর্ড। শুক্রবার সংস্থার সচিব এস কে দত্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমের দিবসটিকে গরু আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পালনের জন্য দেশবাসীর কাছে যে অনুরোধ জানানো হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। গরু আলিঙ্গন দিবস পালন নিয়ে পশু কল্যাণ বোর্ড পিছু হঠলেও রঙ্গ-তামাশা করতে ছাড়ছেন না নেটা নাগরিকরা। অনেকেই ঠাট্টাচ্ছলে বলেছেন, ‘পশু কল্যাণ বোর্ডে থাকা গরুগুলি যেন নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গন থেকে বিরত না থাকলে।’
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই গো-মাতা নিয়ে সস্তা দরের রাজনীতি শুরু হয়েছে। আর ওই রাজনীতির অন্যতম হোতা হচ্ছেন গো-মাতা ভক্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যদিও গো-মাতাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি মোটেও পছন্দ নয় নেটা নাগরিকদের। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেছেন, ‘গরুকে মা ডাকতে আপত্তি নেই। কিন্তু মাকে গরু বলে ডাকতে পারব না!’ গরুকে নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের বাড়াবাড়ির মধ্যেই গত বুধবার বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মোদি সরকারের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের অধীনে থাকা পশু কল্যাণ বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস দিবসটিকে গরু আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পালনের আর্জি জানানো হয় দেশবাসীর কাছে। মানসিক শান্তি আর সমৃদ্ধির জন্য গরুকে আলিঙ্গন করা উচিত বলেও সওয়াল করা হয়।
ওই নির্দেশিকা ঘিরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেক নেটা নাগরিক রসিকতার ছলে প্রশ্ন তোলেন, আলিঙ্গন করতে গিয়ে গরুর শিংয়ের গুঁতোয় আহত হলে চিকিৎসার খরচ কে দেবে? বিদঘুটে নির্দেশিকার জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হয় মোদি সরকারকেও। শেষ পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।