নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাবার চোখের মণি মেয়ে। তাই মেয়ের মৃত্যুর পর কাছে তার কাছে থাকতে কবরের পাশেই বাড়ি বানালেন বাবা। আর এমন বাড়ি বানিয়েছেন যাতে মেয়ের কবরটি যেকোন জায়গা থেকেই তিনি দেখতে পান। এই বাড়িটির নাম ‘প্রেরণার প্রাঙ্গণ’।
জানা গিয়েছে, এই বাড়িটির মালিক বছর ৭০-এর খন্দকার লিয়াকত আলী। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই বাড়ি প্রসঙ্গে খন্দকার লিয়াকত আলী বলেন,’আমরা মেয়ের কাছে থাকব বলে শহরের মধ্যে ছেড়ে গ্রামে এসেছি। যাতে মেয়ের প্রতিদিন কাছে পাওয়া যায়। তাও আমার মনের তৃষ্ণা মেটে না ।‘ খন্দকার লিয়াকত আলীর দ্বিতীয় সন্তান প্রেরণা খন্দকার। কয়েক বছর আগে সে তার বাবার সঙ্গে শহর ছেড়ে গ্রামে আসেন। সেখান থেকেই সে প্রকৃতির মাধুর্য নিত। তবে কয়েকমাসের মধ্যেই প্রেরণা আত্মহত্যা করে। সেই কারণেই মেয়ের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে শহরের বাড়ি বিক্রি করে গ্রামে চলে আসেন। আর সেই বাড়ির নামকরণ করা হয় ‘প্রেরণার প্রাঙ্গণ’।
মেয়ের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িতে চারপাশে রয়েছে ফসল দিয়ে ঘেরা। এছাড়াও রয়েছে ছোট একটি জলাশয়। এই বাড়িতে রয়েছে একটি পাঠাগার। যেখানে গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা আসে। কিছুদিন পরে এই পাঠাগারে বসবে শিশুদের আঁকার স্কুলও। এই দুতলা বাড়িটি ৪ হাজার ২০০ বর্গফুটের। প্রেরণার মা জানিয়েছেন,’ মেয়ের কাছে থাকব বলে শহর ছেড়ে গ্রামে এসেছি। প্রতিদিন ৩০-৪০ বার মেয়ের কবরের কাছে যাই।‘ ২০২৩ সাল থেকে প্রেরণার বাবা- মা এই গ্রামে থাকা শুরু করেন।