আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বয়স ‘মাত্র’ ৭০। মাত্র বলতে হচ্ছে তাঁর কারণ, এই বয়সে একজন ৫২ কিলোমিটার পথ শুধু পায়ে হেঁটে অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত নিলেন। সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের তিন বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই কর্মসূচি। গত ১০ ডিসেম্বর তাকে আরও একবার পথে নামতে দেখা গিয়েছিল।
এবার একুশে পদকপ্রাপ্ত ভালুকা উপজেলার তিনের সম্মানের এই পথপরিক্রমা। এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন ভালুকা উপজেলার দুজন। এর মধ্যে একজন মরণোত্তর। মরণোত্তর সম্মান পেয়েছেন ভাষা সৈনিক প্রয়াত মোস্তাফা এম মতীন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মতিউর রহমান। গত বছর এই জেলা থেকে একুশ পদকে ভূষিত হয়েছিলেন ফুলপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও ভাষাসৈনিক শামসুল হক। একুশে পদকপ্রাপ্ত তিনকে সম্মান জানাতে ভাষা দিবসের দিন ৫২ কিলোমিটার পথ হাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিমল পাল।
সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় বিমল পাল ময়মনসিংহের টাউন হলে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে যান মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বাড়ি। সেখানে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। সেখান থেকে ফের তাঁর যাত্রা শুরু। পরের গন্তব্য ছিল ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি গ্রাম। ঘড়িতে তখন সাড়ে বারোটা বাজে বাজে। বিমল পাল পৌঁছে গেলেন ত্রিশাল উপজেলার বৈলর বাজার।
বিমল পালের এই কর্মসূচিতে অনেক তরুণ পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটেন। মাঝে মধ্যে একটু ক্লান্ত হলে কিছুক্ষণের জন্য তিনি গাড়িতে ওঠেন। ক্লান্তি কাটিয়ে আবার গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হাটা। পদযাত্রায় তাঁর সঙ্গে রয়েছে একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি অ্যাম্বুল্যান্স। যাত্রাপথে ছিল বেশ কয়েকটি শহীদ মিনার। প্রতিটি শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। অনেকেই বিমল পালকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।