নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সেটা ১৯৯১ সালের শীতের ঘটনা।ওই বছর নওগাঁর একটি বিলে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল একটি পেলিকান। চোরাশিকারীরা দুটি পেলিনকানকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে একটি পেলিকানের শরীরে গুলি লাগে। আরেকটি পেলিকানকে চোরাশিকারীরা কেটে তার মাংস রান্না করে খায়। দ্বিতীয় পেলিকানটিকেও রান্না করে খাওয়ার মতলব ছিল। কিন্তু এলাকার মানুষ তাদের বাধা দেয়। খবর দেওয়া হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে। তারা ওই পুরুষ পেলিকানটিকে উদ্ধার করে হস্তান্তর করা হয়। পেলিকানটি রয়েছে, রাজশাহীর শহীদ এ এইচ কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেনে। সেখানে সে একাই কাটিয়ে দিল ৩০ বছর।
চিরিয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেলিকানটির বয়স ৩৭ বছরের কাছাকাছি হবে। সে যাতে স্বজাতির কাছে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য খাঁচা থেকে তাঁকে বের করে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন খাঁচায় বন্দি থাকায় পেলিকানটি উড়তেই ভুলে গিয়েছে। একবার ওড়ার চেষ্টা করেছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর সে পড়ে যায়। পরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে আবার খাঁচায় ফিরিয়ে আনে।পাখিটি লোকালয়ে পড়লে মানুষ ক্ষতি করতে পারে এই আশঙ্কায় পেলিকানটিকে ফের খাঁচায় নিয়ে আসে।
এই ব্যাপারে চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরহাদ উদ্দিন জানান, পাখিটিকে ছেড়ে দেওয়ার পরেও যখন সে উড়তে পারেনি। ওর জন্য সঙ্গীও খোঁজা হয়। কিন্তু এত বছর ধরে কোনও সঙ্গীকে পাওয়া যায়নি। ও একাই থাকে। আজ তিরিশ বছর ধরে সে একা থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।