নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: বাঁদরের বাঁদরামির মুখে যে পড়েনি, তার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় বাঁদর কতটা বাঁদর হতে পারে। এমনই এক বাঁদরামির মুখোমুখি রাজস্থান পুলিশ। সে খুনে ব্যবহৃত ছুরি নিয়ে দে ধাঁ। আদালতে পুলিশ মুখ কাঁচুমাচু করে বিচারকের উদ্দেশ্য বলছে, ‘ধর্মাবতার খুনে ব্যবহৃত ছুরি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে একটি বাঁদর। নিয়ে গিয়েছে আরও অনেক তথ্যপ্রমাণ। সেই বাঁদর কোথায় গিয়েছে আমরা জানিনা। দয়া করে আমাদের মাফ করুন।’
এই চালাক চারপেয়ে কী করেছে, সেটা এবার খুলেই বলা যাক। ২০১৬ সালে জয়পুরের চান্দওয়াজি থানার অন্তর্গত একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খুন হন শশীকান্ত শর্মা। খুনের প্রতিবাদে তাঁর পরিবার এবং গ্রামের বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। তারা খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাহুল কান্দেরা এবং মোহনলাল কান্দেরা নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে। অতিরিক্ত জেলাশাসকের এজলাসে চলছিল মামলা।
মালখানায় জায়গায় না থাকায় খুনে ব্যবহৃত ছুরি এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ আদালত চত্বরে একটা ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে পুলিশ। মামলার শুনানির সময় ওই দুই অভিযুক্তকে পেশ করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে যা যা উদ্ধার হয়েছে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারক। নির্দেশ পাওয়া মাত্র এক পুলিশ কর্মী দৌড়ে সেই গাছতলায় পৌঁছে যান। ছুরি আর অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আদালতে ঢুকবেন, এমন সময় মগডালে বসে থাকা এক বাঁদর সেই ছুরি আর কাগজপত্র ছিনতাই করে দে ছুট।
গেল তো গেল আর এল না।
আরও পড়ুন বাবা অফিসে, মা গভীর ঘুমে, গাড়ি চালিয়ে পার্কে চার বছরের শিশু