নিজস্ব প্রতিনিধি, পাতিয়ালা (পঞ্জাব): তিনি আর পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নন। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বলেও আপাত তাকে ডাকা যাবে না। তিনি এখন কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩। এটাই তাঁর নতুন পরিচয়।
জেলে থাকা জ্বালাতনের। আরও জ্বালাতন বাড়িয়েছে সিধুর ঠিক পাশের কুঠুরিতেই রয়েছেন তাঁর ‘রাজনৈতিক শত্রু’ শিরোমণি অকালির বিক্রম সিং মাজিতিয়া। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে অমৃতসর পূর্ব কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেন বিক্রম সিং। আর ওই কেন্দ্র আপের তরফ থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল জীবনজ্যোত কাঔরকে। কাঔরের কাছে দুজনেই হেরেছেন।
কেমন কাটছে নতুন জীবন?
৫.৩০ ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে পড়া
৭.০০ চা, সঙ্গে বিস্কুট
৮.৩০ ছটা রুটি, সঙ্গে কিছু তরকারি। খাবার খেয়ে জেল নির্ধারিত কাজে যোগদান
৫.৩০ কাজ শেষ করে আবার ফেরা।
৬.০০ রাতের খাবার। ছটা রুটি, সঙ্গে কিছু তরকারি।
৭.০০ আবার নিজের নিজের কুঠুরিতে ফিরে যাওয়া
যদিও জেলের দেওয়া খাবার মুখে তোলেননি সিধু। পরিবর্তে শুধু স্যালাড আর ফল খেয়েছেন। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, লিভারের সমস্যার জন্য সিধুকে গমের তৈরি খাবার খেতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। সেই কারণেই জেলের খাবার খেতে চাননি সিধু।
উল্লেখ করা যেতে পারে,১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেছিলেন সিধু। এরপরই মারা যান গুরনাম। তাতেই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। সেই মামলায় তিনি সাজা পেয়েছেন।
আপাতত বিনা পারিশ্রমিকেই রোজ আট ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে তাঁকে। তারপর ধীরে ধীরে অর্থ দেওয়া হবে তাঁকে। সশ্রম কারাদণ্ডে ৩০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত দিনপিছু আয় করে থাকেন কয়েদিরা।