এই মুহূর্তে




জানেন কী নন্দকুমারের দুর্গাপুজোর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে এক মায়ের চোখের জলের গল্প ?




নিজস্ব প্রতিনিধি :  সারা বছর দুর্গা পুজোর অপেক্ষায় থাকে বাঙালিরা।ঘরের বাইরে কে ? এ যে উমা। কৈলাস থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন দুর্গতিনাশিনী। হাতে আর কটা দিন ব্যস মা আসছেন। তেমনই পূর্ব মেদনিপুর জেলার নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট গ্রামেও প্রত্যেক বছর ধুমধাম করে পুজো হয়। বহু বছর ধরে চলে আসছে ‘চিন্ময়ী মায়ের’ পুজো। চিন্ময়ী হল আসলে মা দুর্গা। তবে এই পুজো শুরু হওয়ার পেছনে রয়েছে এক মায়ের চোখের জলের ইতিহাস।

তমলুকের রাজার এক ব্যবস্থাপক তাঁরা মায়ের চোখের জল মোছাতে ‘চিন্ময়ী মায়ের’  আরাধনা শুরু করেছিল। তাঁর নাম হল স্বার্থকরাম। ব্যবত্তারহাট গ্রামের বাসিন্দা তিনি। মাকে খুশি করতে মায়ের আরাধনা শুরু করেছিল আজ থেকে বহু বছর আগে। স্বার্থকরাম ছিলেন তাম্রলিপ্তি অধুনা তমলুকের রাজা তাম্রধবজ রাজার ব্যবস্থাপক।

আজ থেকে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ বছর আগেকরা কথা! নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাটে এক মহিলা পাশের গ্রামে দুর্গাপুজোয় অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন। মনে ছিল অনেক আশা যে মায়ের কাছে অঞ্জলি দিয়ে নিজের ইচ্ছের পূরণ করবেন। বুক ভরা আশা নিয়ে মন্দিরে অঞ্জলি দিতে গেলেও তা আর শেষ পর্যন্ত করা হয় নি সেই মায়ের। কেননা জাতের দোহাই দিয়ে মন্দিরে অঞ্জলে দিতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় অপমানও করা হয় তাঁকে। অপমান সহ্য করতে না পেরে কান্নায় ফেটে পড়েন ঐ মহিলা। বাড়ি ফিরে এসে সব ঘটনা খুলে বলেন ছেলেকে।

মনের দু:খে ভেঙে পড়েন সেই মহিলা। ভাবেন কোনদিন কী মায়ের অঞ্জলি দিতে পারবেন না ?  ঠিক তখনই ছেলে বলে ওঠেন মা দুর্গার আরাধনায় উঁচু নিচু জাত আবার কীসের ?  কিন্তু মুখে বললে তো হবে না। মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে নিজের বাড়িতে শুরু করেন দুর্গাপুজো। বাড়িতে শুরু হয় চিন্ময়ী মায়ের আরাধনা। সেই থেকে আজও নন্দকুমারের ব্যবত্তাহাটের ব্যবত্তাবাটিতে হয়ে চলেছে মায়ের পুজো। আজও বনেদিয়ানায় ঘেরা পুজোয় ভিড় জমান গ্রামের বাসিন্দারা। আগের মত অত জৌলুস না থাকলেও এখনও সেই ধারা অক্ষুণ রয়েছে নন্দকুমারের ব্যবত্তাহাটের চিন্ময়ী মায়ের পুজো।

তবে প্রতিটা প্রাচীন বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে পুজো শুরুর ইতিহাস। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুজো শুরুর ইতিহাসে দেবীর স্বপ্নাদেশের কথা উঠে আসে। কিন্তু এই পুজোর প্রচলন কোনও স্বপ্নাদেশ থেকে নয়। মানবী মায়ের চোখের জল মোছাতেই শুরু হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে আজও চলে আসছে চিন্ময়ী দেবী মায়ের আরাধনা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

বাবার খুনি ধরতে পুলিশে চাকরি মেয়ের, ২৫ বছর বাদে পাকড়াও করলেন কিলারকে

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ, উৎসবের মরসুমে আকাশ ছুঁল সোনার দাম

Lakshmi Puja 2024 : দরকার নেই পুরোহিতের, বাড়ির মেয়েরা এবার নিজেই করতে পারেন লক্ষ্মীপুজো

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর