এই মুহূর্তে

জানেন কী কার ভক্তদের ভুলেও কষ্ট দেন না শনিদেব ? জানা আছে কী সেই কাহিনী

courtesy google

নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিদেব হলেন ন্যায়ের দেবতা। তাঁর নাম শুনলে ত্রিলোক কেঁপে ওঠে। কেননা তিনি খুব কঠোর। কেউ অন্যায় করলে তাঁর প্রতি নির্মম হতেও পিছু পা হন না ন্যায়ের দেবতা। তাঁর রোষ থেকে কেউ ছাড় পায় না। বলা হয় শনিদেবের হাত থেকে রেহাই পায় নি রাবণরাজও। শনির বক্র দৃষ্টি, সাড়েসাতি ও আড়াইয়ের প্রভাবে নাজেহাল হতে হয় প্রায় সকলকেই। তবে আপনি কী জানেন এমন একজন আছেন যার ভক্তদের কক্ষনো কষ্ট দেন না শনিদেব। জানেন কী কে সে ? আর কেনই বা তাঁর ভক্তদের ছায়া থেকে দূরে থাকেন বড়ঠাকুর ? তবে জেনে নিন এর পেছনে রহস্য।

শনিদেবকে শান্ত করার বিভিন্ন উপায়ও রয়েছে। মনে করা হয়, বজরংবলীর পুজো করলে শনির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।বজরংবলীর ভক্তদের কক্ষনো কষ্ট দেন না শনিদেব। এর কারণ হিসেবে বেশ কিছু পৌরাণিক কাহিনির উল্লেখ পাওয়া যায়। একটি কাহিনি মতে,শনিদেব বজরংবলীর ওপর প্রসন্ন হয়ে তাঁকে আশীর্বাদ দেন। আবার কোনও কোনও প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী বজরংবলী শনির দর্প চূর্ণ করেছিলেন ও ভক্তদের ছায়া থেকে সরার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

একটি কাহিনী অনুযায়ী, রাবণ এতটাই পরাক্রমশালী ছিলেন যে সমস্ত গ্রহকেই নিজের বশে রেখেছিলেন। কিন্তু রাবণের ওপর যখন শনির দশা শুরু হয়, তথন রাবণ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। নিজেকে রক্ষার জন্য শনির ওপর আক্রমণ হানেন রাবণ। শিবের কাছ থেকে প্রাপ্ত ত্রিশূল দিয়ে শনিকে আহত করে নিজের কারাগৃহে উলটো ঝুলিয়ে রেখে দেন।

এদিকে সীতাকে উদ্ধার করতে বজরংবলী লঙ্কা পৌঁছোন। সেখানে গিয়ে দেখেন কারাগৃহে বন্দি আছেন শনিদেব। তখন বজরংবলী তাঁকে উদ্ধার করেন। এরপর তিনি হনুমানজিকে বর দেন, তিনি(শনিদেব)কখনো বজরংবলী ও তাঁর ভক্তদের কষ্ট দেবেন না।

অন্য একটি কাহিনী অনুসারে, একদা বজরংবলী রাম ভক্তিতে ডুবে ছিলেন। তখনই সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন শনি। নিজের শক্তির ওপর শনির প্রচণ্ড অহংকার ছিল, কারণ তিনি যে কোনও ব্যক্তির জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারতেন। শনিদেব বজরংবলীর ওপর বক্র দৃষ্টি দিয়ে তাঁর ধ্যানভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিলেন। বহুক্ষণ ধরে বজরংবলীর ধ্যান ভঙ্গ করার চেষ্টা করেন শনি, কিন্তু বিফল হন। তার পর পুনরায় শনি বলেন, ‘বাঁদর চোখ খোল, দ্যাখ আমি তোর সুখ-শান্তি নষ্ট করতে এসেছি। এই সংসারে এমন দ্বিতীয় কেউ নেই যে আমার মোকাবিলা করতে পারে।’ শনিদেব ভেবেছিলেন এতে বজরংবলী ভয় পেয়ে যাবেন ও তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবেন। শনিদেবের জ্বালায় বজরংবলী কিছুতেই ধ্যান করতে পারছিলেন না। অবশেষে বজরংবলী রেগে গিয়ে তাঁর লেজের মধ্য বেঁধে ফেলন শনিদেবকে। এরপর আছাড় মারতে থাকেন। এতে শনিদেব গুরুতর আহত হন। অবশেষে তিনি বলেন, ‘দয়া কর বানররাজ। ভবিষ্যতে আমি আপনার ছায়া থেকে দূরে থাকব।’ এর পর বজরংবলী বলেন, ‘আমার ছায়াই নয়, আমার ভক্তদের ছায়া থেকেও দূরে থাকবে।’ সেই থেকে শনিদেব বজরংবলীর ভক্তদের কক্ষনো কষ্ট দেন না।

আরও পড়ুন : বজরঙ্গবলীর প্রিয় দিনে জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন আপনার উপর হনুমান জির আশীর্বাদ রয়েছে

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Mahakumbh: ব্রিটিশ জমানায় কুম্ভে স্নান করতে কত টাকা কর দিতে হত জানেন?

এই যুগেই মর্ত্য থেকে স্বর্গে ফিরে যাবেন মা গঙ্গা, এক ফোঁটাও জল পাবে না বিশ্ববাসী

১১ বছর বয়সী ছাত্রের সঙ্গে জোর করে যৌন সঙ্গমের পর গর্ভবতী, গ্রেফতার শিক্ষিকা

Mahakumbh: প্রসাদী পান খেলেই মুক্তি ১৩ মারণ রোগ থেকে! কুম্ভে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ‘পান বাবা’

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন পাকিস্তানি মহিলা!

একুশে আইন, গরু ঢেঁকুর তুললেই গুনতে হবে কর!

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর