নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে টানা ১৫ বছর গা ঢাকা দিয়েছিলেন প্রবীণ জাদেজা। নিয়মিত আস্তানা পাল্টানোর পাশাপাশি পরিচয়ও পাল্টে চলেছিলেন। কখনও প্রবীণ সিং আবার কখনও প্রদীপ সিং আশুইভা জাদেজা হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শখ করে বানানো সোনার দাঁতের কারণেই ১৫ বছর বাদে পাকড়াও হতে হলো মুম্বই পুলিশের কাছে।
শনিবার মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০৭ সালে মুম্বইয়ের একটি কাপড়ের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন প্রবীণ জাদেজা। একদিন মালিক অন্য এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তাঁকে ৪০ হাজার টাকা আনতে পাঠান। ওই টাকা গায়েব করে দিয়ে ছিনতাই হওয়ার গল্প ফাঁদেন প্রবীণ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, টাকা ছিনতাই হয়নি। প্রবীণ নিজেই গায়েব করেছেন। এর পরেই প্রতারণা ও পুলিশকে ভুলপথে পরিচালিত করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেই রাতারাতি উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত। মুম্বই ছেড়ে গুজরাতের কচ্ছে ঘাঁটি গাড়েন। জীবন বিমা করপোরেশনের এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
জামিন পেয়ে উধাও হওয়া প্রবীণকে পলাতক হিসেবে ঘোষণা করে আদালত। আর পলাতক প্রতারককে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে পুলিশ। দীর্ঘ ১৫ বছর বাদে এলআইসি এজেন্টের ছদ্মবেশে থাকা প্রবীণকে পাকড়াও করতে সক্ষম হন মুম্বই পুলিশের গোয়েন্দারা। নাম প্রকাশে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এলআইসি এজেন্ট পরিচয়পত্রের জন্য যে ছবি জমা দিয়েছিলেন তাতে সোনার দাঁত লক্ষ্য করা গিয়েছিল। নাম বদলালেও দাঁত যে তাকে ধরিয়ে দেবে তা বুঝতে পারেননি।