নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল সাংসদের জন্য জারি হয়ে গেল নয়া আচরণবিধি। তবে তা জারি করেছে দলই। লোকসভায় তৃণমূলের দলীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দলীয় নেতৃত্বকে না জানিয়ে দলের কোনও সাংসদ যেন কোথাও কোনও সই না করেন। তবে ঠিক কোন কারনে সুদীপবাবু এই নির্দেশ জারি করেছেন তা যেমন সামনে আসেনি তেমনি নির্দেশিকায় ‘লিডার’ শব্দটি ব্যবহার করে তিনি ঠিক কাকে বোঝাতে চেয়েছেন তা নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন মত শোনা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ লোকসভার সাংসদদের ওই ‘সতর্কবাণী’ পাঠানো হলেও রাজ্যসভার ক্ষেত্রে তেমনকিছু করা হয়নি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল এখন বাংলার বাইরে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে দলের বিস্তারের পথে নেমেছে। সেই সূত্রেই ত্রিপুরা, মেঘালয়, গোয়া, হরিয়ানা প্রভৃতি রাজ্যে দলের ইউনিটও খোলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমেও তৃণমূলের এইসব বিস্তার নিয়ে নিয়মিত খবর করে চলেছে। এই অবস্থায় বাংলা থেকে নির্বাচিত দলের কোনও সাংসদ যাতে ভুল কিছু না বলে ফেলেন তার জন্যই সম্ভবত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই নয়া নির্দেশ জারি করেছেন বলে অনেকের অভিমত। কেননা দলের অনেক সাংসদকেই এখন ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে দলীয় কর্মসূচিতে নামাতে চলেছে তৃণমূল। ঠিক তার আগে সেই সব সাংসদরা যাতে বেফাঁস কিছু বলে না ফেলেন বা সেই ধরনের কিছু না করে বসেন তা ঠেকাতেই এই নির্দেশিকা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদরা শুধু বাংলা থেকে নয়, অসম ও গোয়াও প্রতিনিধিত্ব করছেন। একই সঙ্গে তাঁরা প্রায় সকলেই দীর্ঘদিনের রাজনীতিতে অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান। তাই তাঁরা বেফাঁস কিছু বলবেন না বা করবেন না বলেই দল মনে করছে। কিন্তু লোকসভায় এমন অনেকেই তৃণমূলের হাত ধরে সাংসদ হয়েছেন যারা বয়সে তুলনায় নবীন। তাই তাঁদেরই কিছুটা বিধিতে বেঁধে দিল তৃণমূল।