এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

একুশে হেরে প্রতিশোধের রাজনীতি করছে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: শেষ হয়ে গেল বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) প্রচারের সময়সীমা। এই প্রথম বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের(TMC) হয়ে প্রচারে যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নামতে দেখা গিয়েছে তেমনি এই প্রথম দলের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নেমেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এদিনও প্রচারের শেষলগ্নে কলকাতার প্রেস ক্লাবে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে(Press Meet)। সেখান থেকেই এদিন তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে। সাফ অভিযোগ তুলেছেন একুশের ভোটে বাংলায়(Bengal) হেরে বিজেপি(BJP) এখন প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে। কথায় কথায় বাংলার বরাদ্দ টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। বাংলা থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অথচ সেই টাকার অংশ বাংলাকে দেওয়া হচ্ছে না। ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা(100 Days Work Project), আবাস যোজনার টাকা, রাস্তা তৈরির টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। অথচ দেশের অনান্য রাজ্যগুলি তা পাচ্ছে। অথচ তারপরেও বাংলা একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণে সবার আগে উঠে আসেছে।

আরও পড়ুন দল সবার উর্ধ্বে, শেষদিনেও সাসপেন্ড ৯৬

এদিন অভিষেক বলেন, ‘যারা বাংলার টাকা আটকে রেখেছে, তাদের উচিত জবাব দিতে হবে, অনেক সৌজন্যের রাজনীতি হয়েছে, এবার দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনব। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা আদায় করবই। কেন্দ্র সরকার বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। বিজেপির লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিজেপি বাংলার মানুষের সঙ্গেই লড়াই শুরু করে দিয়েছে। বাংলার বুকে জিততে না পেরে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিশোধের রাজনীতি করা বিজেপিকে বাংলার মানুষ কখনই ছেড়ে কথা বলবে না। প্রতিহিংসাপরায়ণ একটা মানসিকতা একটা মনোভাব, এবং তার যে একটা নেতিবাচক প্রভাব গ্রাম বাংলায় পড়েছে সেটা আমরা লক্ষ্য করেছি। আমরা উপলব্ধি করেছি, বিজেপি তৃণমূলের সংতে লড়াই করতে নাপেরে বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখছে। এতো ইডি-সিবিআই হয়েছে, আমরা তো বলছি যারা কথায় কথায় কোর্টে যাচ্ছে, তাঁরা ১০০ দিনের টাকা নিয়ে একটা জনস্বার্থ মামলা করুক। কিন্তু মানুষের টাকা ছাড়তে হবে। কই একজন বিজেপি নেতাও তো সেটা বলছেন না।’

আরও পড়ুন ভোটকর্মীদের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রেন

এর পাশাপাশি অভিযষেক বলেন, ‘বাংলার ২০ লক্ষ পরিবার যারা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করেছে তাঁদের টাকা কেন্দ্র সরকার জোর করে গায়ের জোরে আটকে রেখেছে। বাংলার ২ কোটি ৬৪ লক্ষ মানুষের রুটিরুজি নির্ভর করে এই ১০০ দিনের কাজের ওপর। তাঁদের টাকা কেন আটকে রেখেছে বিজেপি? বাজেটে বাংলার জন্য ১টাকাও দেয়নি। অন্য সব রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের জন্য টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলার জন্য বরাদ্দ কতো? শূণ্য। বিজেপি বলছে বাংলায় ভুয়ো জবকার্ড হোল্ডার রয়েছে। কিন্তু দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি ভুয়ো জবকার্ড হোল্ডার পাওয়া গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। তারপর মধ্যপ্রদেশ, তারপর মহারাষ্ট্র, তারপর রাজস্থান, তারপর গুজরাত। এই রাজ্যগুলোর দায়িত্বে কে ছিল বা কারা রয়েছে? কই তখন তো ১০০ দিনের টাকা আটকানো হয় না! বাংলায় হেরেছে বলেই বাংলার মানুষের টাকা বন্ধ।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

বিজেপির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর