নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যক্তি নয়, দল সকলের উর্ধ্বে। বার বার বাংলার শাসক দলের তরফে দলের নেতা থেকে কর্মীদের মায় জনপ্রতিনিধিদেরও বার্তা দেওয়া হয়। তারপরেও চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) দেখা গিয়েছে রাজ্যের সব জেলাতেই এক ঝাঁক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল(TMC) কর্মী নির্দল হয়ে লড়াই করতে ভোটে নেমে পড়েছে। দলের ঘোষিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলেরই এই কর্মীদের লড়াইকে মোটেও ভাল ভাবে নেয়নি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বস্তুত তা যে মুখ বুজে মেনে নেওয়া হবে না সেটা তৃণমূলের তরফে অনেক আগে থেকেই বার বার জানিয়েচ্ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে তা জানিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। তারপরেও যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল হিসাবে লড়াই করছে তাঁদের একাধার থেকে সাসপেন্ড(Suspend) করা শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির। দেখা গেল বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনেও তৃণমূল সাসপেন্ড করেছে দলের ৯৬জন কর্মীকে।
আরও পড়ুন ভোটকর্মীদের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রেন
জানা গিয়েছে এদিন যে ৯৬জন দলীয় কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২২জন করে আছেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে। ২১জন আছেন ঝাড়গ্রাম থেকে। ১৭জন আছেন হুগলি থেকে। নদিয়া থেকে আছেন ৫জন ও মুর্শিদাবাদ থেকে আছেন ৪জন। বাদবাকিরা বীরভূমের। অর্থাৎ ৫জন। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের ৫০০’র বেশি কর্মীকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে। এই সব কর্মীরা কেউ আগে পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হয়েছিলেন, কেউ বা দলের পদেও ছিলেন। কেউ কেউ তো আবার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বা উপপ্রধান কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও ছিলেন। এঁদের কাজকর্মে দল খুশি ছিল না বলেই এবার আর তাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও এঁরা নির্দল হিসাবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করছেন। দলের তরফে অবশ্য পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে এঁরা ভোটে জিতলেও এঁদের আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। দলের সঙ্গে এঁদের কোনও সম্পর্ক থাকবে না।