এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘ভাঁওতাবাজির প্রতীক হল পদ্মফুল’, CAA-NRC নিয়ে সরব অভিষেক

নিজস্ব প্রতিনিধি: মূল্যবৃদ্ধি থেকে ১০০ দিন কাজে কেন্দ্রের বঞ্চনা, CAA-NRC থেকে ED-CBI-কে কাজে লাগানো, এই সব নিয়ে মঙ্গলবার নদিয়ার(Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের বাদকুল্লার(Badkulla) সভা থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে(BJP) একহাত নিলেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। লাখো জনতার ভিড়কে সাক্ষী রেখে তিনি বলেন, ‘ভাঁওতাবাজির প্রতীক হল পদ্মফুল, আর ঘাসফুল হল ভরসার প্রতীক। তাই পঞ্চায়েতে এই দলকেই জেতান। গতবারের থেকে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সঙ্গে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে তৃণমূলের। মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি সরকারের প্রতিশ্রুতিও সম্পূর্ণ মিথ্যে। যদি ভোটারদের অবৈধ বলা হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও অবৈধ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও অবৈধ।’

আরও পড়ুন ‘ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে কি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে’, প্রশ্ন অভিষেকের

এদিন থেকেই তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন অবিষেক। আর সেই শুরুটাও তিনি বেছে নেন মতুয়া প্রভাবিত কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের এলাকাটি। সেখানকার বাদকুল্লায় দলীয় সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এদিন CAA ও NRC নিয়ে বিজেপির ভাঁওতাবাজির বিরুদ্ধে সরব হন। অসমের উদাহরণ টেনে তিনি মানুষকে বুঝিয়ে দেন বিজেপি কতটা বাঙালি বিরোধী। কিছুদিন আগেই মতুয়াগড়ে গিয়ে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিষেককে। এবার নদিয়ায় দাঁড়িয়ে সেই মতুয়াদের নাগরিকত্বকে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুর চড়া দাগে বেঁধে দিলেন তিনি। মতুয়াদের নাগরিকত্বের প্রশ্নে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ‘ভাঁওতাবাজির প্রতীক হল পদ্মফুল। মতুয়াদের জন্য CAA করবে বলেছিল। চার বছর হতে চলল। ২০১৯ সালে পাস হয়েছিল CAA বিল। তার পর প্রায় ৪২ মাস অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত বিধি-নিয়ম আনা যায়নি।’

আরও পড়ুন পাইলটের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেই কী দুর্যোগের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার, উঠছে প্রশ্ন

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করে বলেন, ‘NRC-র জন্য অসমে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে, তা সকলের জানা। অসমে NRC তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। এর মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি। এদের বাঙালি বিদ্বেষের প্রমাণ বার বার মিলেছে। কিন্তু যে সমস্ত মানুষ ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, জেলা পরিষদ, বিধায়ক, সাংসদ এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের যদি অবৈধ নাগরিক বলা হয়, তাহলে ওই সমস্ত মানুষের ভোটে নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও অবৈধ। তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত। আপনাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই ফাঁদে পা দেবেন না। আপনারা এই দেশের নাগরিক। প্রধানমন্ত্রীর যতটা অধিকার এই দেশের উপর, মতুয়া ভাইবোনেদেরও অধিকার ততটাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকতে সেই অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। আর পাঁচজন বঙ্গবাসীর যা অধিকার, মতুয়া ভাইদেরও একই অধিকার রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই ভারতের বাসিন্দা মতুয়ারা যখন সরকারি সুযোগ সুবিধা পান, ভোটাধিকার পান, তাহলে নতুন করে নাগরিকত্বে পরিচয় দিতে হবে কেন?’

আরও পড়ুন ‘কেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিন ফুটো হয়ে গেছে’, আক্রমণ মমতার

এর পাশাপাশি অভিষেক এদিন বলেন, ‘দেশের মানুষকে যদি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার প্রমাণপত্র দিতে হয়, তাহলে মোদিও তা থেকে বাদ যেতে পারেন না। বলছে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হলে নাকি ১৯৭২ সালের আগের কাগজ আনতে হবে। আগে প্রধানমন্ত্রী নিজে ৭২-র আগের কাগজ দেখাবেন। তার পর দেশবাসীর কাছ থেকে চাইবেন না হয়। আমার, আপনার সবার জন্য এক নিয়ম। ক্ষমতায় রয়েছেন বলে হাতির পাঁচ পা দেখাবেন না। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলে, যা ইচ্ছা করবেন ভাবলে, মানুষের হাতেও কিন্তু ইভিএম-এর বোতাম থাকবে। এটা একনায়কতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে শাসক নয়., খেটে খাওয়া মানুষই শেষ কথা বলেন। তাই মানুষ মনে করলে টেনে নামাতে সময় লাগবে না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে এফআইআর দায়ের তমলুক থানায়

ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে সিপিএমের উত্থানে সংকটে বিজেপি

স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামী

ঝাড়গ্রামে ডোবাতে পড়ে যাওয়া হাতিকে উদ্ধারে ব্যর্থ বন দফতর ,অবশেষে মৃত্যু

দু চোখ অন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো ফল এক জন্মান্ধ মেয়ের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর