নিজস্ব প্রতিনিধি: চলে গিয়েও রয়ে গিয়েছেন তিনি। মানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি(Jitendra Tiwari)। তৃণমূলের(TMC) এই প্রাক্তন বিধায়ক এবং আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন তৃণমূল মেয়র একুশের ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। বিজেপি(BJP) তাঁকে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিটও দিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর সেখান থেকে জিততে পারেননি তিনি। তবে এখন বিজেপিতেই রয়ে গিয়েছেন জিতেন্দ্র। কিন্তু থাকলে কী হবে, মন পড়ে আছে তো সেই তৃণমূলেই। বিজেপিতে শুধু তো শরীরই ঘুরছে। এ দাবি কারও নয়, আদতে জিতেন্দ্র নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সেটা। আর তার জেরেই এখন তাঁকে ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে আসানসোল ও পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) সহ রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকেই মনে করছেন, আজ না হোক কাল জিতেন্দ্র ফিরবেনই তৃণমূলে। উনি মুখে যতই রাম নাম করুন না কেন, আদতে হৃদয়জুড়ে ওনার এখনও মমতার(Mamata Banerjee) নাম।
আরও পড়ুন E-Bike ও E-Scooter উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ
কী এমন হল যে জিতেন্দ্রকে ঘিরে এই আলোচনা শুরু হয়ে গেল? পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুর মহকুমার ফরিদপুর ব্লকের কাঁটাবেড়িয়া গ্রামে সোমবার সকালে প্রচারে যান জিতেন্দ্র। এই গ্রামেই সম্প্রতি বিজেপি প্রার্থী সন্তোষ ভুঁইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই গ্রামেই প্রচারে যান জিতেন্দ্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রচার চলাকালীন জিতেন্দ্র দেখেন, রাস্তায় তৃণমূলের দলীয় পতাকা পড়ে রয়েছে। তিনি সেটি তুলে সোজা করে রাস্তার পাশে রেখে দেন। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। জিতেন্দ্রের সৌজন্যের প্রশংসা করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী সুজিত। তিনি বলেন, ‘ওর এই রাজনৈতিক সৌজন্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ কিন্তু এখন এই ঘটনার জেরে জেলার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জিতেন্দ্রকে ঘিরে। যদিও জিতেন্দ্র নিজে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘সব দলের পতাকারই মর্যাদা আছে। ওরা বিজেপির পতাকা তুলে ফেলে দিচ্ছেন। আমরা ওদের পড়ে থাকা পতাকা তুলে ধরছি। এখানেই ওঁদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।’ কিন্তু এই সহজ সরল ব্যাখা মানতে নারাজ সবাই।