এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গ্রাম বাংলার রঙ কী হবে, তাকিয়ে থাকবে জনতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ২০২৩ সালের বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election)। গ্রাম বাংলার মানুষ নিজ নিজ বুথে যাবেন পঞ্চায়েতের ৩টি স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে। ঠিক তার ২ দিনের মাথায় হবে গণনা। সেই সঙ্গে সামনে আসতে শুরু করবে ফলাফলও। আর সেই ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে আছেন বাংলার মানুষ। কেননা এই ফলই বলে দেবে ২০২৪ সালের আগে গ্রাম বাংলার নিয়ন্ত্রণ ঠিক কার হাতে থাকতে চলেছে। তৃণমূল(TMC), বিজেপি(BJP) নাকি বাম-কংগ্রেস কাদের হাতে থাকবে গ্রাম বাংলার নিয়ন্ত্রণ সেটা জানার জন্য আর ২-৩টে আমাদের সবাইকে ধৈর্য্য ধরেই অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন ভোট গ্রামে, ভোগান্তি শহরে, রাস্তায় Bus হারা জনতা

বাংলার রাজনীতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের গুরুত্ব অসীম। কেননা রাজ্যের ৬০ শতাংশ মানুষের বাস এই গ্রাম বাংলার বুকে। কার্যত গ্রাম দিয়েই ঘেরা বাংলার সব শহর। সেই গ্রামের ভোটে কোন রাজনৈতিক দল এগিয়ে থাকল সেটা অনেক সময়েই বাংলার রাজনীতির গতিমুখ ঠিক করে দেয়। যেমনটি দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। সেই প্রথম বাংলার মাটিতে ধরা পড়েছিল পরিবর্তনের তীব্র সম্ভাবনা। সেই বছর তৃণমূল পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ যেমন দখল করেছিল তেমনি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূমের বুকে প্রায় ৪০টি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করেছিল। সেই ফলই কার্যত বলে দিয়েছিল পরিবর্তন আসন্ন। দেখা যায় সেই দাবি ভুল নয়। কেননা ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক ১ বছর বাদে বাংলার বুকে ১৯টি আসন দখল করে বাম বাংলার খুঁটি নড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিবর্তনের ঝড় বজায় রেখেই ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলার মসনদে আসেন পরিবর্তনের কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

আরও পড়ুন ৫ বছরেই দ্বিগুণ, তবুও অমিল এজেন্ট

কার্যত ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম বাংলার বুকে যে পরিবর্তনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা চোখে পড়ে সেটাই শেষমেষ ২০১১ সালের পরিবর্তনকে চূড়ান্ত রূপ দেয়। সেই অর্থে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলই বলে দেবে ২০২৪’র লোকসভা এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঠিক কী হতে চলেছে। সন্দেহ নেই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মূল লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া এই ৩ জেলায় দুই দলের সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে। বাকি জেলাগুলিতে অবশ্য তৃণমূলের দাপটই এখনও পর্যন্ত চোখে পড়ছে। তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যেকার এই লড়াইয়ে অনুঘটক হয়ে থাকছে বাম-কংগ্রেস। এবারে যেমন গেরুয়া শিবির থেকে বামেদের ঝুলিতে তাঁদের পুরাতন ভোট ফিরে যাওয়া চোখে পড়তে পারে তেমনি চোখ রাখতে হবে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর জেলায় কংগ্রেস কী ফল করছে সেদিকের ওপরেও। ওই ৩ জেলা বাদে বসিরহাট, ঝালদা, কৃষ্ণনগর, রামপুরহাট মহকুমাতেও কংগ্রেসের কী ফল হয় সেদিকেও চোখ রাখতে হবে। নজর থাকবে আইএসএফ বাংলার সংখ্যালঘু ভোটে কোনও থাবা বসাতে পারে কিনা। সর্বপরি আসন সংখ্যার দিক থেকে বিরোধীরা ২০১৮ সালের থেকে বেশি আসনে জিততেও পারে কিনা। 

আরও পড়ুন ২০০৩ সালে বাম জমানাতেই পঞ্চায়েত ভোটে রক্তে স্নান করেছিল বাংলা

বিজেপি ২০১৮ সালে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ৬,০০০-এর মতো আসনে জিতেছিল। এ বারে তাদের লক্ষ্য ত্রিস্তরে অন্তত ১৫,০০০ আসনে জয়। যার উপর ভিত্তি করে তারা আগামী বছরের লোকসভা ভোটের জন্য কৌশল তৈরি করতে পারবে। কিছু জেলা পরিষদ আসন পাওয়ার আশা করছে কংগ্রেস-বাম জোটও। তারা মনে করছে, মুর্শিদাবাদ এবং পুরুলিয়ায় তাদের ফল ভাল হবে। এ বার রাজ্যের মোট ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ স্তরের ভোট হচ্ছে ২০টিতে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে দু’টি স্তরে— গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে। সেখানেও কেমন ফল হয় সেদিকেও সকলের নজর থাকবে। একই সঙ্গে জঙ্গলমহলের বুকে কুড়মিরা কোন প্রভাব ফেলতে পারবে কিনা সেদিকেও সবাই তাকিয়ে থাকবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বহরমপুরে রোড শো’ তে বেরিয়ে লস্যিতে চুমুক ইউসুফ পাঠানের

দেবাংশুর প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ,প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে পথ অবরোধ

বেলঘরিয়ায় ভোট প্রচারে সুজন চক্রবর্তীর ‘সাদা চুল’ নিয়ে কটাক্ষ মদন মিত্রের

স্বামীকে ব্রাউন সুগার খেতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে মারল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

মঙ্গলবারের পর থেকে বঙ্গে দুর্যোগ কাটবে, বাড়বে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা

বারাসতে বেসরকারি হাসপাতালে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় মালিকসহ গ্রেপ্তার ২

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর