নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও ভোট(Panchayat Election)। সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যের ১৯টি জেলার ৬৯৬টি বুথে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ভোট শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে সেই ভোটগ্রহণের পালা। সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে বেসরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন প্রতিটি বুথেই ৪জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Para Military Force) জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। তার বাইরেও আছে রাজ্য পুলিশের(West Bengal State Police) সশস্ত্র বাহিনী। নেই কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার। যে বুথগুলিতে এদিন পুনর্নির্বাচন(Repoll) হচ্ছে তার মধ্যে সব থেকে বেশি বুথ রয়েছে মুর্শিদাবাদে(Murshidabad), ১৭৫টি বুথ। তারপরেই থাকছে মালদা(Malda), ১০৯টি বুথ। নদিয়ায় ভোট হচ্ছে ৮৯টি বুথে। এর বাইরে কোচবিহারের ৫৩টি বুথে, উত্তর ২৪ পরগনার ৪৬টি বুথে, উত্তর দিনাজপুরের ৪২টি বুথে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি বুথে, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩১টি বুথে, হুগলির ২৯টি বুথে, দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৮টি বুথে, জলপাইগুড়ি এবং বীরভূমের ১৪টি করে বুথে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০টি বুথে, হাওড়া এবং বাঁকুড়ার ৮টি করে বুথে, পশ্চিম বর্ধমানের ৬টি বুথে, পুরুলিয়ার ৪টি বুথে, পূর্ব বর্ধমানের ৩টি বুথে এবং আলিপুরদুয়ারের ১টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন রাজ্যের ৫টি জেলা পরিষদ থেকে যেতে পারে বিরোধী শূণ্য
তবে এদিন সকাল থেকেই চোখে পড়েছে যে সব বুথে নতুন করে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে সেখানকার প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই জানেন না সেখানে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এমনকি বুথে নানা রাজনৈতিক দলের এজেন্টদেরও ঠিক মতন দেখা মিলছে না। বেশ কিছু বুথ এলাকায় তো এদিন সকালে পুলিশ গিয়ে মাইকিং করে ভোটের বিষয়টি এলাকাবাসী ও এজেন্টদের জানান। তাঁরা রীতিমত এজেন্টদের ডেকে নিয়ে গিয়ে বুথে বসিয়েছেন। আর এই কারণেই এদিন বুথে বুথে ভোটারদের উপস্থিতি বেশ কম চোখে পড়েছে। কমিশনের তরফে এখনও কিছু জানানো না হলেও বেসরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথম ২ ঘন্টায় মাত্র ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। দেখার বিষয় বেলা গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে এই ভোটপ্রদানের হার বাড়ে কিনা। রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ছুটির যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সেখানে বলা হয়েছিল, যে সব এলাকায় পুনর্নির্বাচন হবে সেখানকার বাসিন্দাদেরও এদিন ছুটি দিতে হবে। যদিও নানা জায়গায় দেখা যাচ্ছে, অনেকেই নিজের নিজের কর্মস্থলে ফিরে চলে এসেছেন। তাও ভোটের দিন ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লেও এদিন তা কিছুটা হল্কেও কম থাকবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন শুভেন্দুর জেলায় খাতা খুললেও জেলা পরিষদ অধরাই থাকবে বিজেপির
এদিন সকাল থেকে যেহেতু কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ভোট চলছে তাই কোথাও থেকে কোনও অপ্রীতিকর খবর আসেনি এখনও পর্যন্ত। এদিনের নিরাপত্তা বেষ্টনী দেখে অনেকেই মনে করছেন, এদিনের মতো কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা যদি ৮ তারিখেও থাকত তাহলে যে মৃত্যুর মিছিল সেদিন চোখে পড়েছিল তা হতো না। মৃত্যুর নিরিখে এবারের ভোটে শাসক দলের কর্মী ও সমর্থক সব থেকে বেশি মারা গিয়েছেন। এদিনের মতো নিরাপত্তা বেষ্টনী যদি সেদিনও থাকত তাহলে ওই মৃত্যুর তাণ্ডবলীলা চলত না, সেটা শাসক দলের নেতা থেকে নীচুতলার কর্মীরাও মানছেন।