নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের জন্মস্থান রোজারিওতে পা রাখলেই তাঁকে খুন করা হবে বলে শাঁসিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেই হুমকির পরে আদৌ মাঠে নেমে তিনি স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে খুনের হুমকি মাথায় নিয়ে মাঠে নেমে নিজের জাত চেনালেন লিওনেল মেসির সতীর্থ আনহেল ডি মারিয়া। শুধু তাই নয়। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে গোলও করলেন। আর তার অসাধারণ নেতৃত্বের গুণে ৫১ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেও জিতে মাঠ ছাড়ল আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি হিসাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার কোস্টারিকার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। আগে সাতবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তার মধ্যে দুটি ম্যাচে ড্র হয়েছিল। বাকি ৫ ম্যাচে জয় পেয়েছিল নীল-সাদা জার্সিধারীরা। অপরাজেয় থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে পারে কিনা বিশ্বকাপজয়ীরা, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল দর্শকরা। প্রথম থেকেই কোস্টারিকাকে চেপে ধরেছিল লিওনেল স্কালোনির ছেলেরা। তবে কাঙ্খিত গোল পায়নি। উল্টে ৩৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার জাল কাঁপিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ম্যানফ্রেড উগাল্ডে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বিশ্বসেরারা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচের রং বদলাতে থাকে। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় আনহেল ডি মারিয়া-লাওতারো মার্তিনেজরা। আর্জেন্টিনার মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে কোস্টারিকার রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়রা। ৫২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফ্রিকিকে কোস্টারিকার জাল কাঁপিয়ে দলকে সমতায় ফেরান ডি মারিয়া। ওই গোলের পরেই আরও আগ্রাসী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। ৫৬ মিনিটে নিকোলাস ওতামেন্দির হেড থেকে পাওয়া বল মাথা দিয়ে কোস্টারিকার গোল লক্ষ্য করে ঠেলেন নিকোলাস তালিয়াফিকো। তাঁর হেড কোস্টারিকার পোস্টে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বলে হেড করে গোল করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ৭৬ মিনিটে বক্সের বাইরে রদ্রিগো দি পলের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান লাওতারো মার্তিনেজ।