নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: চলতি বিশ্বকাপে তুখোড় ফর্মে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি’কক। শ্রীলঙ্কার পরে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও শতরান পেলেন ৩১ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক। আর ওই শতরান করেছেন মাত্র ৯০ বল খেলে। তবে শতরানের পরে বেশি এগোতে পারেননি প্রোটিয়া তারকা ব্যাটার। ১০৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।
গত ৭ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শতরান পেয়েছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার ডি’কক। ৮৩ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন শতরানের ঘরে। ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। এদিনও লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সাবলীলভাবেই খেলতে শুরু করেন তিনি। মনে হচ্ছিল, আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন সেখান থেকেই শুরু করছেন। তবে আগের দিনের মতো আগ্রাসী মেজাজ নিয়ে খেলতে থাকেন। ৫১ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে একদিনের ক্রিকেটে নিজের ৩১তম অর্ধশতরান তুলে নেন।
আর অর্ধশতরান হওয়ার পরে আরও খোলস ছেড়ে বেরোন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক। ৯০ বলে একদিনের কেরিয়ারে ১৯তম শতরান করেন ডি’কক। আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। অর্থাৎ দ্বিতীয় ৫০ রান করতে ডি’কক খেলেছেন মাত্র ৩৯ বল। হাঁকিয়েছেন চারটি চার আর তিনটি ছক্কা।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিংস। কিন্তু শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক ও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা সাবলীলভাবে সামলান মিচেল স্ট্রার্ক, জশ হ্যাজলউড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের। যদিও অজি খেলোয়াড়দের জঘন্য ফিল্ডিংয়ের কারণে দু’দুবার প্রাণ পান প্রোটিয়া অধিনায়ক। ১৯ রানে বাভুমার ক্যাচ ফেলেন জে ইঙ্গলিস। ৩১ রানে ফের ক্যাচ ফেলেন সিয়ান অ্যাবট। ১০৬ বল খেলে দলকে একশোর গণ্ডি পার করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ২০তম ওভারে গিয়ে প্রথম সাফল্য পায় অস্ট্রেলিয়া। বাভুমাকে (৩৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এর পরে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিতে যেতে থাকেন ডি’কক ও ডুসেন। যদিও আগের ম্যাচে শতরানকারী ডুসেন বেশিদূর যেতে পারেননি। মাত্র ২৬ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে ফেরেন।