নিজস্ব প্রতিনিধি: চুমুকাণ্ডে শেষ পর্যন্ত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা। শনিবার সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মহিলা বিশ্বকাপের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে স্পেন ফুবল সংস্থার শীর্ষ কর্তা লুইস রুবিয়ালেসা যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা লজ্জাজনক। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের আসর থেকে তাঁকে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উনি ৯০ দিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরে কোনওভাবেই অংশ নিতে পারবেন না।’ পাশাপাশি স্পেনের যে মহিলা ফুটবলারকে জোর করে চুমু খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে সেই জেনিফার হারমোসোর সংস্পর্শে না আসারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাসিত স্পেনের ফুটবল কর্তাকে।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার মহিলা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল স্পেন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে স্পেনের রানি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ফিফা সভাপতি-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তি উপস্থিত। পদক নিতে দেশের মহিলা ফুটবলাররা মঞ্চে উঠতেই আজবকাণ্ড ঘটান স্পেনের ফুটবল সংস্থার শীর্ষ কর্তা লুইস রুবিয়ালেস। দেশের মহিলা উটবলার জেনিফার হারমোসোকে জোর করে চুমু খান। ওই অস্বস্তিকর দৃশ্য দেখে অপ্রস্তুতে পড়েন স্পেনের রানি-সহ মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টরা। সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েন স্পেনের ফুটবল কর্তা। যদিও নিজের অপকর্মের সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জেনি হারমোসোর সম্মতি ছিল বলেই চুমু খেয়েছি।’
যদিও শুক্রবার রুবিয়ালেসের দাবি খারিজ করে দিয়ে স্পেনের মহিলা ফুটবল দলের অন্যতম মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, ‘চুমু খাওয়ার জন্য স্পেনের ফুটবল সংস্থার প্রধানকে কোনও সম্মতি দিইনি।’ জেনি হারমোসকে জোর করে চুমু খাওয়ার ঘটনায় দেশের ফুটবল প্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন স্পেনের ৮১ জন খেলোয়াড়। তার মধ্যে বিশ্বকাপজয়ী দলের ২৩ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘লুইস রুবিয়ালেস না সরে দাঁড়ানো পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলবেন না।’ ওই বিদ্রোহের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চুমুকাণ্ডে অভিযুক্ত ফুটবল কর্তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করল ফিফা।