আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাজ করতেন আমেরিকার একটি পারফিউমের দোকানে। দিন পিছু আয় মাত্র ৩৫ ডলার। সেখান থেকে আজ আইপিএলের তারকা। চলতি আইপিএলে ব়য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাঁকে ১০.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। এমনই এক আশ্চর্য জীবন হার্শাল প্যাটেলের।
একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে প্রাতঃরাশ অনুষ্ঠানে হার্শাল প্যাটেল জানিয়েছেন, ’খুব কষ্ট করতে হয়েছে আমায়। নিউ জার্সির একটি পারফিউমের দোকানের সামান্য কর্মচারি ছিলাম। ভালো করে ইংরেজিও বলতে পারতাম না। ইয়েস স্যর, নো স্যরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, ছোট থেকে লেখাপড়া গুজরাতি ভাষায়। আমেরিকায় গিয়ে প্রথম কোনও বিদেশি ভাষার সঙ্গে আমার পরিচয়। নিউ জার্সির এলিজাবেথে এক পাকিস্তানির পারফিউমের দোকানে কাজ করতাম। প্রতিদিন আয় মাত্র ৩৫ ডলার। কাকা অফিস যাওয়ার সময় মোটর সাইকেলে করে সকাল সাতটায় দোকানে পৌঁছে দিতেন। আর দোকান খুলত সকাল নটায়। টানা দু ঘণ্টা সেখানে বসে থাকতাম। দোকান খোলার পর সাড়ে সাতটা, কোনওদিন রাত আটটা পর্যন্ত কাজ করতে হত। ১২-১৩ ঘণ্টা কাজ করে আয় মাত্র ৩৫ ডলার।’
আমেরিকায় আসার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন হার্শাল প্যাটেল। জানিয়েছেন, গুজরাতে থাকাকালীন তিনি জুনিয়র ক্রিকেট খেলতেন। ক্রিকেটকেই পেশা হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন। জীবনের অভিমুখ ঘোরাতে আমেরিকায় আসা।
গুজরাতেও তাকে বেশ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানান হার্শাল। বলেন, ’সকাল হলেই ব্যাট হাতে পৌঁছে যেতাম। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় প্র্যাকটিশ, চলত ১০টা পর্যন্ত। অনুশীলন হত মোতেরা স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামের পাশে ছিল একটি স্যান্ডউইচের দোকান। খেতাম-আলু মটরের স্যান্ডউইচ। তবে টোস্ট করা নয়। কারণ, টোস্ট স্যান্ডউইচের দাম বেশি ছিল। আলু-মটরের স্যান্ডউইচের দাম যেখানে সাত টাকা, সেখানে টোস্ট স্যান্ডউইচের দাম ১৫ টাকা।’