নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে ক্রিকেট দলগত খেলা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য সব সময়ে জয় এনে দিতে পারে না। বৃহস্পতিবার ফের একবার প্রমাণিত হল সেই আপ্তবাক্য। দক্ষিণ আফ্রিকার আগুন ঝরানো পেস বোলিংয়ের সামনে বিরাট কোহলি ছাড়া বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারলেন না আর কোনও ব্যাটারই। ফলে রানেই শেষ হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। ফলস্বরূপ প্রোটিয়াদের কাছে ইনিংস ও ৩২ রানে হারের লজ্জা পেতে হলো রোহিত শর্মাদের। তিনদিনেই ফয়সালা হয়ে গেল টেস্টের।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ডিন এলগার ও মার্কো জানসেনের অসামান্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৪০৫ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু কোনও রান না করেই রাবাডার বলে সাজঘরে ফেরেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। খানিকবাদে নান্দ্রে বার্গারের বলে ফিরে যান যশস্বী জয়সোয়াল (৫)। তৃতীয় উইকেটে শুভমন গিল ও বিরাট কোহলি খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গিলকে (২৬) ফিরিয়ে সেই প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেন মার্কো জানসেন। শ্রেয়স আইয়ার (৬) বড় ইনিংস খেলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন। প্রথম ইনিংসে শতরান করা কে এল রাহুলও (৪) ব্যর্থ হন। পরের ওভারে ফিরে যান রবিচন্দ্রন অশ্বিনও (০)। শার্দূল ঠাকুর (২), যশপ্রীত বুমরা (০), মহম্মদ সিরাজ (৪) দলের প্রয়োজনের সময়ে ন্যূনতম প্রতিরোধটুকুও গড়তে পারেননি।
এক প্রান্তে একা কুম্ভ হয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিষাক্ত বোলিংয়ে একের পর এক সতীর্থ যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, তখন পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বড় শট খেলে কাগিসো রাবাডা-নান্দ্রে বার্গারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেন। ৬১ বলে অর্ধশতরান তুলে নেন। কিন্তু দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো সঙ্গী হিসাবে কাউকে পাননি। শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্য হারিয়ে মার্কো জানসেনকে মারতে গিয়ে রাবাডার হাতে তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন বিরাট। আউট হওয়ার আগে ৮২ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রান করেন। ব্যাট হাতে দুরন্ত খেলার পরে বল হাতেও জ্বলে উঠেছেন মার্কো জানসেন ৩৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। আর নান্দ্রে বার্গার নিয়েছেন ৩৩ রানে চার উইকেট।