নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: লড়াইটা কার্যত একপেশেই হলো। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তার মধ্যে বিরাট কোহলি একাই করেছিলেন অপরাজিত ৮৩। জবাবে ১৯ বল বাকি থাকতেই হাতে সাত উইকেট নিয়ে জয় তুলে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সৌজন্যে সুনীল নারাইন ও বেঙ্কটেশ আইয়ারের ঝোড়ো ব্যাটিং। এই নিয়ে বেঙ্গালুরুর মাঠে টানা ছ’টি ম্যাচ জিতল কলকাতা। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন শ্রেয়স আইয়াররা।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন কলকাতার দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুইনীল নারাইন। আর বেধড়ক মার খেয়ে লাইন-লেংথ হারিয়ে ফেলেন আরসিবির বোলাররা। ৫০ বলে ৮৬ রান তুলে ফেলেন সল্ট ও নারাইন।এক সময়ে মনে হচ্ছিল টি টোয়েন্টিতে নিজের ৫০০তম ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে অর্ধ শতরান পেয়ে যাবেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। কিন্তু তা হল না। ২২ বলে পাঁচটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৪৭ রান করে ময়াঙ্ক ডাগরের বলে সাজঘরে ফিরলেন। নারা্ইন ফেরার পরের ওভারে বিজয়কুমার বৈশাখের বলে আউট হয়ে যান ফিল সল্টও। তিনি করেন ২০ বলে ৩০।
পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট খোয়ালেও বেঙ্গালুরুর বোলারদের মাথায় চেপে বসতে দেননি বেঙ্কটেশ আইয়ার ও নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। দুজনে মহম্মদ সিরাজ-যশ দয়ালদের তুলোধনা করেন। তবে দ্রুতগতিতে রান তোলার ক্ষেত্রে শ্রেয়সকে টেক্কা দিয়েছেন বেঙ্কটেশ। ১৬তম ওভারে যশ দয়ালের বলে সাজঘরে ফেরার আগে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন বেঙ্কটেশ। চারটি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে ৩০ বলে ৫০ রান করেন। এর পরে হেসেখেলে দলকে জয় এনে দেন নাইট অধিনায়ক ও রিঙ্কু সিং। ১৯ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়ে যায় কেকেআর। শ্রেয়স অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে আর রিঙ্কু ৫ রানে।