নিজস্ব প্রতিনিধি: চ্যাম্পিয়ান্স লিগের শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখদের কাছে হারের লজ্জা পেতে হলো তারকা সমৃদ্ধ পিএসজিকে। মঙ্গলবার রাতে প্যারিস স্টেডিয়ামে কার্যত লিওনেল মেসি-নেইমার-কিলিয়ান এমবাপেদের নিয়ে ছেলেখেলা করল জার্মানির ক্লাবটি। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন কিংসলে কোম্যান। শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ের প্রথম লেগে হেরে চাপে পড়ে গেল ক্রিস্তোফে গালতিয়েরের ছেলেরা। ৮ মার্চ বায়ার্নের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে জেতা ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা নেই মেসিদের কাছে।
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় বায়ার্নের ছেলেরা। গোটা মাঠজুড়ে দাপিয়ে খেলতে থাকে। একের পর এক আক্রমণ শানায় পিএসজির গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান পিএসজির ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ালুইনজি দোন্নারুমা, সার্জিও রামোসরা। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪৩তম মিনিটে বড় সুযোগ পায় বায়ার্ন। জসুয়া কিমিচের জোরাল শট ঠেকান পিএসজির গোলরক্ষক। বায়ার্নের আক্রমণের মুখে ভীষণ নিস্প্রভ লাগছিল ফুটবলের মহাতারকা মেসি-নেইমারদের। প্রথমার্ধে জার্মানির ক্লাবটির গোল লক্ষ্য করে কোনও শটই নিতে পারেননি পিএসজির বিখ্যাত ফরোয়ার্ডরা। উল্টোদিকে একের পর এক গোলের সুযোগ মিস করে বায়ার্ন।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় জার্মানির ক্লাবটি। ৫৩ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় বায়ার্ন। আলফানসো ডিভিসের নিখুঁত ক্রস দুর্দান্ত ভলিতে পিএসজির জালে জড়ান কিংসলে কোম্যান। গোল খেয়ে আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সবে চোট সেরে সুস্থ হয়ে ওঠা কিলিয়ান কার্লোস সেলরকে তুলে নিয়ে এমবাপেকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। ফরাসি তারকা ফুটবলার মাঠে নামায় পিএসজির আক্রমণ কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়। ৬২ মিনিটে চুপো-মোটিংয়ের ওভারহেড কিক প্রতিহত করেন পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা। পরের মিনিটে মোটিংয়ের জোরালো শট কোনও ক্রমে কর্নার করে বাঁচান পিএসজি গোলরক্ষক। কর্নার থেকে নেওয়া পাভার্দের জোরাল শটও প্রতিহত করে দেন। ৭৩ ও ৮২ মিনিটে দু’দুবার বায়ার্নের জালে বল জড়ান এমবাপে। যদিও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। ৮৪ মিনিটে মেসির শট পাভার্দের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে মেসিকে ফাউল করে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পাভার্দে। যদিও তাতে ক্ষতি হয়নি বায়ার্নের।