নিজস্ব প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পেয়ারিং ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন আইসিসির বর্ষসেরা আম্পেয়ারের স্বীকৃতি পাওয়া মারাইস এরাসমাস। বৃহস্পতিবার ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ শুরু হল। এই টেস্ট ম্যাচই শেষ আম্পেয়ারিং করছেন এরাসমাস।
২০১৬, ২০১৭ ও ২০২১ সালে, তিনবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পেয়ারের স্বীকৃতি পেয়েছেন এরাসমাস। দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। নিজের অবসরের কথা জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই আম্পেয়ার জানিয়েছেন, ‘গত বছরের অক্টোবরে আমি আম্পেয়ারিং ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলাম। আইসিসিকে সেই কথা জানিয়েও দিয়েছি। আইসিসিকে বলে দিয়েছি, এপ্রিলে আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আমি আর থাকতে পারছি না।‘ আম্পেয়ারিং পেশাটা যে কতটা চ্যালেঞ্জিং সেই কথাও ফুটে উঠেছে এরাসমাসের মুখে। তিনি জানান, সঠিক সিদ্ধান্ত জানানোর মুহূর্তে অনেক সময়ই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। তবে কাজটা ঠিকমতো করতে পারলে আনন্দই লাগে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পেয়ারিং ছেড়ে দিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পেয়ারিং চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই আম্পেয়ার।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পেয়ারিংয়ে অভিষেক হয় এরাসমাসের। ২০১০ সালে রুডি কোয়ের্তজেন অবসর নিলে সেই জায়গায় এলিট প্যানেলভুক্ত হয়েছিলেন এরাসমাস। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৭৮টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এরাসমাস। এই ৩৭৮টি ম্যাচের মধ্যে রয়েছে ১২৫টি টেস্ট, ১৯২টি ওয়ানডে ও ৬১টি টি ২০ ম্যাচ। তাঁর আম্পেয়ারিংয়ের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচগুলির মধ্যে একটি হল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। সাকিব আল হাসানের আবেদনে শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে টাইমড আউট করে দিয়েছিলেন এরাসমাসই।