আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সেই ট্র্যাডিশনই বহাল রইল। বুধবার সিডনিতে প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে টি- টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছল পাকিস্তান। পাঁচ বল বাকি থাকতে সাত উইকেট হাতে নিয়ে জিতল বাবর আজমের দল। ইতিহাস বলছে, এখনও পর্যন্ত এই দুই দেশ যতবার মুখোমুখি হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশবার জয়ী হয়েছে পাকিস্তান। এবারের টি-টুয়েন্টির সেমিফাইনালে তাঁর অন্যথা হল না। ১৩ বছর বাদে ২০ ওভারের ম্যাচে বিশ্ব সেরা হওয়ার দৌড়ে বাবর আজমরা।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুর দিকে দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ায় তারা রীতিমতো চাপে পড়ে যায়। ১০০ রানের গণ্ডী অতিক্রম করার আগেই তারা হারিয়ে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট। ফ্লিন অ্যালেন চার রান। রান নিতে গিয়ে বিশ্রিভাবে আউট হন ডেভন কনওয়ে। ২১ রানে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। গ্লেন ফিলিপস এলেন এবং গেলেন।আট বল খেলে মাত্র ছয় রান করে বাড়ি। ফলে, দলের জন্য একটা সম্মানজনক ইনিংস তৈরির দায়িত্ব গিয়ে পড়ে অধিনায়কের ওপর। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন মিচেল। সাময়িক বিপর্যয়ের হাত থেকে দলকে অনেকটাই তিনি রক্ষা করেন। বলা যেতে পারে, একজন অধিনায়কের যা দায়িত্ব, সেটাই তিনি যথাযথভাবে পালন করেছেন। কিন্তু মিডল অর্ডারে ধস নামায় একা তার পক্ষে বড় ইনিংস নির্মাণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। অর্ধশতরান থেকে মাত্র চার রান দূরে থাকতে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হন অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৫২ রানে।
জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম।