নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন ঘিরে ক্রমশই সুর চড়াচ্ছেন বিদায়ী সভাপতি ব্রিভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কুস্তিগিররা। বজরং পুনিয়ার পরে এবার ‘খেলরত্ন’ ও ‘অর্জুন’ পুরস্কার ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বিনেশ ফোগত। মঙ্গলবারই দুই পুরস্কার ফেরাতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসে পদকজয়ী কুস্তিগির। যদিও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত বৃহস্পতিবারই ভারতীয় কুস্তি সংস্থার নতুন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত বিদায়ী সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের ‘ইয়েসম্যান’ হিসাবে পরিচিত সঞ্জয় সিং। আর তার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্রিজভূষণের শাস্তির দাবিতে রাজপথে নেমে আন্দোলন করা কুস্তিগিররা। ওই দিনই সাংবাদিক সম্মেলনে কুস্তি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা করেন সাক্ষী মালিক। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পদ্মশ্রী ফেরানোর কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন আর এক পদকজয়ী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সংসদে যান তিনি। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগেই তাঁকে পুলিশ আটকায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না পেরে সংসদের সামনের রাস্তায় পদক ফেলে দিয়ে আসেন তিনি।
দেশকে গর্বিত করা দুই কুস্তিগিরের সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়ে যায় মোদি সরকার। চাপ সামলাতে শেষ পর্যন্ত গত রবিবার রাতে জাতীয় কুস্তি সংস্থার নবনির্বাচিত কমিটিকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রীড়ামন্ত্রক। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিনেশ ফোগত জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে খেলার জন্য যে ‘খেলরত্ন’ ও ‘অর্জুন’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল, সেই সম্মান ফিরিয়ে দিতে চান তিনি। য়েচীছে তাঁকে। কিন্তু ভারতের কুস্তি সংস্থায় দুর্নীতি কমছে না। যে ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে এত দিন প্রতিবাদ করে তাঁকে গতি থেকে তাঁরা সরালেন সেই ব্রিজভূষণেরই ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহ ফেডারেশনের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তারই প্রতিবাদ হিসাবে নিজের দুই সম্মান ফিরিয়ে দিতে চাইছেন তিনি।