নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যর জোড়া ভুলের ফসল ঘরে তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ব্যাটিং সহায়ক পিচে তাণ্ডব চালালেন হায়দরাবাদের তিন ব্যাটার ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা ও হাইনরিখ ক্লাসেন। তিনজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের দৌলতে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৭ রান তুলল প্যাট কামিংসের দল। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তোলার নজির গড়ল প্যাট কামিংসের দল।
বুধবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে প্রথমে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। তার ওই সিদ্ধান্তে চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। ব্যাটিং সহায়ক পিচে প্রথমে ব্যাট না করার ভুলের পাশাপাশি স্পিডস্টার যশপ্রীত বুমরাকে দিয়ে আক্রমণ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক। আর তার সেই জোড়া ভুলের সুযোগ নিল হায়দরাবাদ। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ট্র্যাভিস হেড। কেওয়ানা মাফাকা, হার্দিক পাণ্ড্য, পীযূষ চাওলাদের নিয়ে ছেলেখালা করতে থাকেন। পঞ্চম ওভারে মুম্বই অধিনায়কের বলে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল (১১)। কিন্তু তাতে খুব একটা বিপাকে পড়েনি হায়দরাবাদকে। কেননা দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে তাণ্ডব চালান হেড ও অভিষেক শর্মা। ৯টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে অর্ধশতরান করেন হেড। সাত ওভারেই দলকে শতরানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন দুজনে। শেষ পর্যন্ত হেডের তাণ্ডব থামান গেরাল্ড কোয়েৎজে। ততক্ষণে ২৩ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ফেলেছেন অজি ব্যাটার।
হেড ফিরে যাওয়ার পরে মুম্বই বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেন অভিষেক শর্মা। মাফাকার এক ওভারে পর পর চার বলে ২০ রান নিয়ে মাত্র ১৬ বলেই অর্ধশতরানের গণ্ডি ডিঙিয়ে যান তরুণ ব্যাটার। অর্ধশতরান পূরণের পথে ছযটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। ১০.২ ওভারে দেড়শো রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় হায়দরাবাদ। মারমুখী অভিষেককে (২২ বলে ৬৩) সাজঘরের পথ ধরান প্রবীণ স্পিনার পীযূষ চাওলা। এর পরে চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার আইডেন মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেন। সতীর্থ হেড এবং অভিষেক যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করেন দুজনে। মুম্বইয়ের বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে মাত্র ২৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ক্লাসেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে রান তোলে হায়দরাবাদ। আইডেন মার্করাম (৪২) ও ক্লাসেন (৮০) রানে অপরাজিত থাকেন।
মুম্বইয়ের বোলারদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ঠ্যাঙানি খেয়েছেন মাফাকা। চার ওভারে দিয়েছেন ৬৬ রান। কোয়েৎজেও অকাতরে রান বিলিয়েছেন। তিনি চার ওভারে দিয়েছেন ৫৭ রান। হার্দিক পাণ্ড্য ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৬ রান।