নিজস্ব প্রতিনিধি : আইপিএলের ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়াম থেকে সন্দেহভাজন ২ জন বুকিকে ধরে ফেলল বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। ইতিমধ্যে এই ২ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে, রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ চলাকালীন এই চার জন বুকি লাক্সারি বক্সে বসেছিল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত ২৮ মার্চ জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে। লাক্সারি বক্সে বসে থাকা দুজন বুকিকে চিহ্নিত করে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। এরপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। পরের ঘটনাটি ঘটে ১ এপ্রিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে। দুজন সন্দেহভাজন বুকিকে প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে অবশ্য তাদের কাছ থেকে ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। সাধারণত মুম্বইয়ের প্রেসিডেন্ট বক্সে আমন্ত্রিতরাই বসতে পারেন। সাধারণ দর্শকরা সেখানে প্রবেশের সুযোগ পান না। গত ১ এপ্রিল যাদের প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের কাছে আমন্ত্রণপত্র ছিল না। তখন তাঁদের বুকি হিসাবে সন্দেহ করে বার করে দেওয়া হয়।
এর আগেও আইপিএলকে ঘিরে বেটিং বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ২০১৩ সালে ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে রাজস্থান রয়্যালসের তিন খেলোয়াড় এস শ্রীশান্ত, অজিত চাণ্ডিলা ও অঙ্কিত চহ্বনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেইসময় ১১ জন বুকিকে আটক করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় শ্রীশান্ত ও চহ্বনের ম্যাচ খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।