নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি কথা দিলে সেই কথা রাখেন। তিনি এমন কোনও কথা দেন না, যে কথা তিনি রাখতে পারবেন না। তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলার(Bengal) চা শ্রমিকদের জন্য তিনি বাড়ি বানিয়ে দেবেন। সেই কথা রাখতেই তিনি চালু করেন ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্প(Cha Sundari Project)। এবার সেই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের দুটি জেলার ২০ হাজার চা শ্রমিককে(Tea Garden Workers) বাড়ি তৈরি করার টাকা তুলে দিতে চলেছে তাঁর সরকার। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। নজরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্প। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri District) এবং আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar District) এই দুই জেলার ২০ হাজার চা শ্রমিকের জন্যই ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পরবর্তীকালে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলার চা শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে।
তবে এই চা-সুন্দরী প্রকল্পে চা শ্রমিকদের বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তও থাকছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার যে সব চা-শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিয়েছে, কেবলমাত্র তাঁরাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি তৈরির টাকা পাবেন। প্রত্যেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে পাবেন বাড়ি তৈরির জন্য। রাজ্যের আবাসন দফতরের ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের রূপায়ণের দায়িত্বে অবশ্য থাকছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। তাঁরাই চা শ্রমিকদের ৩ ধাপে এই ১ লক্ষ টাকা করে দেবেন। সরকারি ভাবে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি এই দুই জেলায় চা শ্রমিকদের সংখ্যা আড়াই লক্ষের মতো। তার মধ্যে প্রথম দফায় ২০ হাজার শ্রমিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পেতে চলেছেন। ৩ ধাপে টাকা পাওয়ার মধ্যে প্রতিটি ধাপে তাঁরা ৪০ হাজার টাকা করে পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের লক্ষ্য পাহাড় ও ডুয়ার্সের সব চা বাগানের শ্রমিকদের মাথায় পাকা ছাদ তৈরি করে দেওয়া। কিন্তু যে সব চা-শ্রমিকদের নিজস্ব জমি নেই তাঁদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি অর্থ তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুধুমাত্র যে সব চা-শ্রমিকদের রাজ্যের তরফে জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের হাতেই চা-সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে পাহাড় ও ডুয়ার্সের সব চা-বাগান শ্রমিকদের জমির পাট্টা প্রদানের পাশাপাশি তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেবে রাজ্য সরকার।