নিজস্ব প্রতিনিধি: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) কম্বল (Blanket) বিলির কর্মসূচিতে পদপিষ্ট (Stampede) হয়ে তিন জনের মৃত্যুর (Death) ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ (Police)। ধৃতরা কর্মসূচির আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোলে বিরোধী দলনেতার কম্বল বিলির কর্মসূচিতে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত ঝালি বাউরি (৫৫)-র ছেলে সুখেন বাউরির অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগপত্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকণ্ঠম এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জানান, ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে। আদালতে তুলে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। পাশাপাশি কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির তত্ত্বাবধানে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারির উদ্যোগে শিবচর্চা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। অনুষ্ঠান থেকে কম্বল বিতরণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই কর্মসূচিতে গিয়ে পদপিষ্ট (Stampede) হয়ে মৃত্যু হয় এক শিশু সহ তিন জনের। মৃতদের নাম যথাক্রমে প্রীতি সিং (১২), চাঁদমনি দেবী (৪৫) ও ঝালি বাউড়ি (৬০)। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। আসানসোল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সভা করার জন্য বিজেপির তরফে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি পুলিশের কাছ থেকে। বুধবার ঘটনার পরেই রাতে হাসপাতালে পৌঁছন পুলিশ সুপার সুধীর কুমার নীলকান্তম। আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের অনুমতি ছিল এই কর্মসূচিতে।
অন্যদিকে মৃতদের পরিবারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বৃহস্পতিবার চেক তুলে দেন।