এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মালদাতে ফুলাহার নদীর তীরে ৫০০ বছরের দুর্গা পুজো

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা : রাত পোহালেই দেবি পক্ষের সূচনা।সেজে উঠছে শহরতলী থেকে গ্রাম গঞ্জের পুজো মণ্ডপগুলি।নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকার অন্যতম পুজো মালদার রতুয়া থানার কাহালা শিবপুর ঘাট সার্বজনীন দুর্গাপূজা। প্রায় পাঁচশো বছর ধরে একই রীতিনীতি নিষ্ঠার সাথে পুজো হয়ে আসছে। তবে নদী ভাঙ্গনে বেশ কয়েকবার স্থানও বদলেছে।স্থায়ী মন্দিরে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে পূজা হচ্ছে ফুলাহার নদীর তীরে। ওই এলাকায় এই দুর্গাপূজা বুড়িমা পূজা নামে প্রচলিত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এলাকার জমিদার পরিবারের সদস্য সৌরেন্দ্র মোহন মিশ্রের বংশ পরম্পরায় পূজা শুরু করেছিলেন মায়ের সপ্নাদেশ পেয়ে। সময়ের সাথে বদলেছে পুজোর ঘরানা। পারিবারিক পুজো বর্তমানে সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। তবে রয়ে গেছে একই রীতিনীতি ভক্তি ও নিষ্ঠা।কাহালা অঞ্চলের শিবপুর ঘাটে ফুলাহার নদীর তীরে মায়ের স্থায়ী মন্দিরের পূজা অর্চনা হয়ে আসছে। এলাকাবাসীর মতে এই মায়ের মহিমায় নদীয়ার প্রকট রূপ ধারণ করে না। আশেপাশে এলাকায় কমবেশি ভাঙ্গন চললেও এই এলাকা ভাঙ্গন না হওয়ায় মায়ের স্থায়ী মন্দির করে তোলা হয়েছে। পুজোর কটা দিন গ্রামবাসীরা মিলন উৎসবের মেজাজেই কাটায়।

পূজা উদ্দোক্তাদের মতে,প্রায়৫০০ বছর  প্রাচীন এই পুজো। এলাকায় হরিবাগান নামে একটি কয়েকশ বিঘার বাগান ছিল। তবে ফুলাহার নদীর দাপটে সমস্তটাই নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। একের পর এক স্থান পরিবর্তন হতে থাকে মায়ের পুজো অর্চনার। শেষমেষ ফুলহর নদীর তীরে শিবপুর ঘাটে পূজা অর্চনা শুরু হয়, প্রায় একশো বছর আগে। তবে মায়ের পুজো অর্চনা শুরু হলে এই এলাকায় আর ভাঙ্গনের তেমন রূপ দেখা যায়নি । তবে এখনো মন্দির ঘেঁষে রয়েছে ফুলহার নদী।একই রীতিনীতি নিষ্ঠা মেনেই পূজা অর্চনা চলছে।বর্তমানে গ্রামবাসীরা একত্রিতভাবে পুজো পরিচালনা করে আসছে। এবছরও পূজোর প্রস্তুতি জোর কদমে চালাচ্ছে গ্রামবাসীরা। এক চালায় মায়ের সাবেকি মূর্তিতে পুজো অর্চনা রীতিমেনেই করে আসছে শিবপুর সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির কর্মকর্তারা।খুবই জাগ্রত এই দুর্গাপূজা বলে দাবি এলাকাবাসীর।রীতি মেনে পুজো চলাকালীন চলে পশু বলি প্রথাও।

পুজো কমিটির সদস্য রাজেশ সিংহ জানান, বৃষ্টির সমস্যা জেরে এলাকার বহু পরিবারের পাটের ঠিকঠাক ফলন ও পচন প্রক্রিয়া পড়তে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার মুখে পড়তে হতো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক অনুদান পাওড়াতে পুজো পরিচালনা করতে অনেকটাই সহযোগিতা হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভগবানগোলাতে অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে জখম একাধিক শিশুসহ ১৩ জন

বসিরহাট আদালতে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশার’ চোখে জল

নির্বাচনের আগে ভাটপাড়ায় বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার

ফরাক্কার এক স্কুলেই চাকরি গিয়েছে ৩৬ শিক্ষকের, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

গৌরাঙ্গনগরে ১০ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে, উদ্ধার করল পুলিশ

বিজেপিকে সমর্থনের শাস্তি, বিনয় তামাংকে দল থেকে তাড়াল কংগ্রেস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর