এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মে-মাসেই ঘূর্ণিঝড় জন্ম নিতে পারে বঙ্গোপসাগরে, অভিমুখে দুই বঙ্গ

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাপপ্রবাহের(Heat Wave) জেরে দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন রীতিমত বিপর্যস্ত। রীতিমত হাঁসফাঁস দশা সকলের। এর মধ্যেই শুক্রবার সকালে সুখবর শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানিয়েছে, বঙ্গোপাসাগরে(Bay of Bengal) তৈরি হয়েছে উচ্চচাপ বলয়। সেই উচ্চচাপ বলয় জলীয় বাষ্পপূর্ণ দক্ষিণী হাওয়াকে ঠেলে ঢোকাতে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে। আর তার জেরেই আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে লাগাম পড়তে চলেছে তাপপ্রবাহের। সেই সঙ্গে রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে কালবৈশাখী পরিস্থিতি যা বৃষ্টি ঝরাতে সক্ষম হবে। আর সেই বার্তার পিছন পিছন দিল্লির মৌসম ভবন(Mousam Bhawan) থেকে এসেছে এক বিপদ বার্তাও। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়(Cyclone) যার অভিমুখ থাকবে দুই বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা। আর যদি তা হয় তাহলে কী হতে পারে? এর একটাই উত্তর, আয়লা আর আম্ফান দুই ঘূর্ণিঝড়ই বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল এই মে মাসেই। পরিণতিটাও সকলেরই জানা।

দিল্লির মৌসম ভবন থেকে যে বার্তা এসেছে তা হল, উত্তর ভারত মহাসাগর বা দক্ষিণ আন্দামান সাগরে(Andaman Sea) ৫ মে’র পরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। ওই সময়ে সাগরে জলের উষ্ণতা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে যা ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দিতে খুবই অনুকূল হিসাবে বিবেচিত হয়। সেই ঘূর্ণাবর্তই এগিয়ে আসবে বঙ্গোপসাগরের বুকে। তারপর সেখানেই সে ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করে প্রথমে নিম্নচাপ, তারপর সুস্পষ্ট নিম্নচাপ, তা থেকে গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তারপরেই তা এগিয়ে আসবে দুই বাংলার উপকূলের দিকে। প্রবল শক্তি নিয়ে সেই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সুন্দরবন লাগোয়া দুই বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। স্থলভাগে প্রবেশকালে অর্থাৎ ল্যান্ডফলের সময়ে তার গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি প্রতি ঘন্টা। 

যদিও আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্ষা কালের আগে মে মাসকে এমনিতেই ঘূর্ণিঝড় প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। তবে ঘূর্ণিঝড় যে জন্ম নেবেই সেই কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। কেননা ঘূর্ণাবর্ত থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে যে ধাপ গুলি পার হতে হবে সেগুলি পূর্ণ রূপ পাবে তখনই যখন আবহমণ্ডলের উচ্চস্তরে বাতাসের গতি ও তার অভিমুখ অনুকূলে থাকবে। মনে রাখা উচিত আয়লা আর আম্ফানের মধ্যে ১০ বছরের ব্যবধান রয়েছে। তাই ২০২০ সালে বাংলার বুকে আছড়ে পড়া আম্ফানের অল্পকালের মধ্যেই আরও একটা ওই পর্যায়ের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আবারও বাংলার দিকে ধেয়ে আসবে এটা এখনই ভেবে নেওয়া ঠিক হবে না। আগে ঘূর্ণাবর্তের জন্ম হোক, তারপর সে বঙ্গোপসাগরে এসে হাজির হোক, তারপর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সে চাহারা নিক, তারপরেই পরিষ্কার হবে তার অভিমুখ কী হতে পারে। বাংলায় আসার বদলে সে ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের দিকেও চলে যেতে পারে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে হাতা- খুন্তির লড়াই, হুঁশিয়ারি মমতার

মালদায় পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ২৮ কোটির মাদক, ৩২ লাখ টাকা, গ্রেফতার ১

মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি, সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন অভিষেক

কনে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে গাড়ি উল্টে মৃত্যু দু’জনের,আহত অন্তত ২৮

বহরমপুরের কিছু বুথে পুনরায় ভোটের দাবি কংগ্রেসের

বাইরে থেকে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন, জানালেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর