নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন সাবির আলি (৫৩)। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি সামাল দিতে বীরভূমের মল্লারপুরের হাজিপুরে বাড়ি এসেছিলেন তিনি। কিন্তু অশান্তি থামাতে গিয়ে ছেলের হাতেই খুন হতে হল ওই ব্যক্তিতে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ছেলে সাহাবুদ্দিন আলি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিহত সাবির আলির তিন ছেলে। বড় ছেলে চাকরি সূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন। মোজো ও ছোটো ছেলে মল্লারপুরের বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু সম্প্রতি মেজো ছেলে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছোটভাইয়ের নামে। তাঁর অভিযোগ ছিল, ছোটভাই তাঁদের সোনার গয়না চুরি করেছে। এই নিয়ে দুই ভাইয়ের তুমুল অশান্তিও হয়। শুক্রবার বিকেলেই সাবির আলি বাড়ি ফেরেন দুই ভাইয়ের ঝামেলা মিটমাট করতে। কিন্তু জানা যাচ্ছে রাত পর্যন্ত ঝামেলা অশান্তি চলে ওই পরিবারে।
শুক্রবার গভীর রাতে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন আলি তার দাদাকে মারধর শুরু করে। এমনকি ভোজালি নিয়েও আক্রমণ করে। তখনই ছেলেকে বাঁচাতে যান বাবা সাবির আলি। সেই সময়ই ভোজালির কোপ পড়ে তাঁর ওপর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় ছেলে সাহাবুদ্দিন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষী সাবির আলির। মল্লারপুর থানায় ছোট ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।