নিজস্ব প্রতিনিধি: চা বাগান খোলা থাকলেও বন্ধ থাকল হাটবাজার দোকানপাট। বনধে মিশ্র প্রভাব পড়ল জলপাইগুড়িতে। কেন্দ্রের পাস করানো তিন ‘কালো’ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আজ ১০ ঘণ্টার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। যাদের সমর্থন করেছে একাধিক কৃষক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল। কিন্তু রাজ্যে বনধকে সমর্থন জানানো হয়নি। তাই জোর করে বনধ করানোর অভিযোগে জলপাইগুড়ি জেলায় গ্রেফতার ১০, জানালেন এস পি জলপাইগুড়ি দেবর্ষি দত্ত।
জলপাইগুড়িতে বন্ধ দোকানপাট। চলছে না বেসরকারি বাস। সরকারি বাস আটকে দিয়েছিলেন বনধ সমর্থকেরা। সকালে এই চিত্র থাকলেও বেলা গড়ালে পালটে গেল চিত্র। অফিস মুখি হল মানুষ।
জলপাইগুড়ি শান্তি পাড়া ডিপো থেকে শিলিগুড়ি কিংবা ডুয়ার্স সহ অন্যান্য রুটে বাস চলাচল করে। সোমবার সকাল থেকে এই বাস চলাচল আটকে রাখে বনধ সমর্থকেরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাদের সরিয়ে দিয়ে শুরু করে বাস চলাচল।অপরদিকে সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার বাজার গুলি বন্ধ ছিল। পাশাপাশি খোলেনি দোকানপাট। তবে বেলা বাড়লে চিত্রটা পালটায়। কিছু দোকানপাট খোলে। শুরু হয় টোটো চলাচল। অফিস মুখী হতে দেখা যায় কর্মীদের। পাশাপাশি অফিস গুলির সামনে বনধ সমর্থকদের দেখা যায়।
এদিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের গেটে বন্ধের সমর্থনে লাগানো পোস্টার খোলাকে কেন্দ্র করে বাম মহিলা নেতৃত্বের পুলিশের সঙ্গে তুমুল বাক বিতন্ডা। ঘটনাকে ঘিড়ে উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়িতে। পরে পুলিশ একপ্রকার জোড় করে পোস্টার খুলে দিয়ে হঠিয়ে দেয় বাম নেতৃত্বদের। পাশাপাশি বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি চা বাগানে। এদিন সকাল থেকে জেলার ২৫০০০ ক্ষুদ্র চা বাগিচা সহ জেলার প্রায় সমস্ত চা বাগানে স্বাভাবিক ভাবে কাজ হয়েছে।