নিজস্ব প্রতিনিধি: পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম জিয়ারুল মণ্ডল। এই নিয়ে অনুপম খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ জন। অন্যদিকে পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী।
গত ১৩ মার্চ পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের পর এলাকায় তদন্তে যায় পুলিশ। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁরা সেই সময় এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। তার জেরেই যেমন নীল ডোরাকাটা গেঞ্জি পরা দুষ্কৃতীকে কার্যত পায়ে হেঁটে এসে অনুপমবাবুকে গুলি করার ফুটেজ যেমন সামনে এসেছে তেমনি পুলিশ এটাও নিশ্চিত হয়েছিল ওই দুষ্কৃতী এলাকা ছেড়ে যেতে পারেনি। এলাকাতেই সেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। আর তার জেরেই রবিবার রাতেই শুরু হয় এলাকায় চিরুনি তল্লাশি। সেই সময়ে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এরপরই তেঁতুলতলা এলাকা থেকে ধরা পড়ে শম্ভুনাথ পণ্ডিত ওরফে অমিত নামে ওই দুষ্কৃতী। তেঁতুলতলা এলাকার একটি হোগলা বনে লুকিয়ে ছিল সে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই বনে আগুন লাগিয়ে দিলে সে বাধ্য হয় বেড়িয়ে আসতে। আর তখনই তাকে ধরে উত্তমমধ্যম দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অমিতের বাড়ি নদিয়া জেলার হরিণঘাটায়।
পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ কাউন্সিলর খুন হওয়ার ঘটনা নিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘তরতাজা যুবক সদ্য নির্বাচনে জিতেছিলেন। তাঁকে খুন করার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। ভাড়া করা খুনিদের দিয়ে খুন করানো হয়েছে। একশো শতাংশ পরিকল্পিত খুন বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ অমিতকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল তদন্তকারীরা। এর পর জিয়ারুল মণ্ডল নামে তৃতীয় সন্দেহ ভাজনকে পাকড়াও করল পুলিশ।