নিজস্ব প্রতিনিধি: বকটুই (Bagtui) কাণ্ডে শেখ সমীর সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছিল আগেই। ধৃতকে ৩ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দেয় রামপুরহাট মহকুমা আদালত। তা পূর্ণ হতে শুক্রবার ফের আদালতে সমীরকে নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আদালতে (Court) ধৃত সমীর দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এও দাবি করেন, তাঁকে এই ঘটনায় ফাঁসিয়েছে মিহিলাল। প্রসঙ্গত, ভাদুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন লালন শেখ। সেই লালনের শ্বশুর শেখ সমীর।
এদিন রামপুরহাট আদালতে সমীরকে তোলা হলে ধৃত বলেন, তাঁকে পরিকল্পনা করে ফাঁসিয়েছে মিহিলাল। এদিন বিচারক ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ধৃতদের। এই দিন অভিযুক্ত সমীরের সঙ্গে মুম্বাই থেকে ধৃত আরও ৪ জনকে আদালতে তোলা হয়। সকলেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বকটুই কাণ্ডে সিবিআই জালে গত বৃহস্পতিবার ধরা পড়ে আরও একজন। ধৃতকে জেরা করছে সিবিআই। তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে এই কাণ্ডে আরও কারা জড়িত। এর আগে সিবিআই রামপুর হাট থেকে গ্রেফতার করেছিল সমীর শেখকে। ধৃত সমীর সম্পর্কে লালন শেখের শ্বশুর। তারও আগে মুম্বাই থেকে লালন ঘনিষ্ঠ ৪ জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের মধ্যে দুইজনের নাম বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ। বৃহস্পতিবার ফের সিবিআই জালে ধরা পড়ে আরও একজন। রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে অভিযুক্ত ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পারে রিটন শেখের নাম। এরপরেই তাকে আটক করা হয়। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। জানা গিয়েছে, ধৃত রিটন পেশায় টোটো চালক। গণহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখ ঘনিষ্ঠ বাপ্পা শেখ ও সাবু শেখকে জেরা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে রিটন- এই ঘটনায় জড়িত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানেও ছিল অভিযুক্ত রিটনের নাম। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বগটুই- এর এক পেট্রোল পাম্প থেকে জারে করে পেট্রোল নিয়ে আসে রিটন।
এর আগে, মুম্বাই থেকে ধৃত চারজনকে জেরা করেই সিবিআই জানতে পারে সমীর শেখের নাম। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকেও জানা গিয়েছিল তার কথা। এরপরে রামপুরহাট থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অভিযুক্তকে।