এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পঞ্চায়েত নির্বাচন কার্যত Acid Test, মানছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাফল্যই এবার বোঝা হয়ে উঠেছে। অন্তত বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) অন্দরে সেই ছবিটাই ধরা পড়ছে। সাফল্য ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮টি আসন প্রাপ্তির ঘটনা। সেই ফলাফল বিজেপির কাছে বাংলার বুকে ছিল কার্যত ঐতিহাসিক। এখন সেই ফলাফলকেই বাংলার বুকে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ড ধরে নিয়ে এগোতে চাইছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তাই তাঁরা ওই রেজাল্টকেই তুলে ধরে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। সেই টার্গেট ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের(General Election)। দলকে জেতাতে হবে ২৪টি আসনে। আর তার আগে ভাল ফল করে দেখাতে হবে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election)। নূন্যতম ৮টি জেলা পরিষদ, ৮০টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে দেখাতে হবে, এমনই টার্গেট বঙ্গ বিজেপির সামনে বেঁধে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের মাথারা। আর এই টার্গেট পূরণের জন্য সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনই কার্যত Acid Test হয়ে উঠতে চলেছে। এমনটাই মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতা থেকে কর্মীরা। 

আরও পড়ুন কাগজে-কলমে আছে, অথচ বাস্তবে গড়েই ওঠেনি নন্দীগ্রাম ITI

কেন Acid Test? বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দাবি, রাজ্যের কোনও জেলাতেই পর্যাপ্ত বুথ কমিটিই নেই। সাংগঠনিক শক্তিও প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়েই সংশয় রয়েছে। প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ প্রার্থী হতেও চাইছে না। অথচ এই পঞ্চায়েত নির্বাচনেই ৮টি জেলা পরিষদ ৮০টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) বলে দিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। যা অবস্থা তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন কার্যত Acid Test হয়ে উঠতে চলেছে। দলের সাংগঠনিক শক্তি কতটা মজবুত অবস্থায় রয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আর সেই কারণে মোদিজির নির্দেশ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতেও পালন করতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। কারণ, গ্রামীণ জনভিত্তি মজবুত করতে না পারলে লোকসভা ভোটেও বাংলায় বিজেপি ভালো ফল করতে পারবে না।

আরও পড়ুন বাংলায় সক্রিয় ১৯টি Mobile Tower প্রতারক গ্যাং

আর তাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে। ওই কর্মসূচিতে বঙ্গ বিজেপির সবক’টি মোর্চাকেই সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে দলের যুব, মহিলা এবং সংখ্যালঘু মোর্চাকে। রাজ্যের অন্তত দু’হাজার গ্রামে সংশ্লিষ্ট জনসংযোগ কর্মসূচি পালনের জন্য বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কর্মসূচি শেষে এর সবিস্তার রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা(J P Nadda) স্বয়ং। কিন্তু এত কিছু করেও যদি ৮টি জেলা পরিষদ ৮০টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল না করে দেখানো যায় তখন কী হবে? প্রশ্ন ঘুরছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। দলের নেতারাই মনে করছেন ৮টি জেলা পরিষদ তো দূরের কথা বাংলায় ১টি জেলা পরিষদ দখল করার ক্ষমতাও বিজেপির নেই। ৪-৫টি পঞ্চায়েত সমিতি দখলে আসতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে বোর্ড গঠন করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চিত তাঁরা। আর বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করার সম্ভাবনা থাকলেও সেখানেও বোর্ড গড়া নিয়ে প্রশ্ন আছে, বোর্ড গড়তে পারলেও উন্নয়ন করার মতো টাকা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই সব মিলিয়ে পঞ্চায়ত নির্বাচন বঙ্গ বিজেপির কাছে Acid Test ভিন্ন আর কিছুই নয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কার ভোটে সুমিতা থাবা বসাবেন, হিসাব কষছে দুই ফুলই

ফের তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে অধীর, এবার নওদায় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান

বিষ্ণুপুর শিল্পতালুকে বন্ধ কারখানা কিনে তা চালু করছে টাটারা

ডাউন ব্যান্ডেল লোকালে আগুন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর