নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীকে (DR. CHANDRANATH ADHIKARY) নিয়েও রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে। তিনি প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে সাদা কাগজে লিখে দিয়েছিলেন ১৪ দিন বিশ্রামের কথা। তবে তারপরেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান চিকিৎসক চন্দ্রনাথ। তাঁর দাবি ছিল, জোর করে তাঁকে অনুব্রত লিখিয়ে নিয়েছিলেন ওই কথা। ওই চিকিৎসক আরও বলেছিলেন, বোলপুর হাসপাতালের সুপার তাঁকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সুপার তখন ছুটিতে। তাঁর ও সুপারের কথোপকথনের ‘অডিও ক্লিপ’ প্রকাশ্যে এসেছে। এহেন সাড়া ফেলে দেওয়া চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী কিন্তু ‘মোদি আর্মি’র সদস্য! এনআরসিকে সক্রিয় ভাবে সমর্থন করেন। তাঁর দু’চক্ষের বিষ বামেরা!
ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে, দু’বছর আগেই তিনি মোদি গ্রুপে নাম লিখিয়েছেন। গত ২০২০ সালের ১ এপ্রিল চন্দ্রনাথ যোগ দিয়েছেন ‘মোদি আর্মি’ প্রাইভেট গ্রুপে। ‘মোদি সেনা’ ওই ক্লোজড গ্রুপের সদস্য সংখ্যা সত্তর হাজার ছ’শো জন। এছাড়া তাঁর ফেসবুক পোস্টে দেখা গিয়েছে, বামপন্থী নেতাদের ছবি দিয়ে ‘ধর্মীয় উস্কানি’র পোস্ট। তারিখটা গত বছরের ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি। এনআরসি ইস্যুতে এই চিকিৎসক পুরোপুরি মোদি-অমিত শাহের পাশে। বাংলাদেশ সরকারের ইস্যু করা সেদেশের নাগরিকদের জন্য ‘জাতীয় পরিচয়পত্র’- এর ছবি তুলে তাঁর প্রশ্ন, ‘তবে ভারতে হলে অসুবিধা কোথায়?’ তারিখটা গত ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি। মানে, যখন এনআরসি সরব বিরোধীরা।
এসএসকেএম হাসপাতাল ফেরানোর পরদিনই বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করে তাঁকে বেড রেস্টের পরামর্শ দেন। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই তিনি অবস্থান বদল করে জানিয়ে দেন, অনুব্রতর চাপেই তিনি বেড রেস্ট লিখতে বাধ্য হন। এমনকী, তিনি কেষ্টর বাড়িতে যেতে না চাইলেও সুপারের নির্দেশে তাঁর বাড়ি যান বলেও জানান চন্দ্রনাথ। ফলে বিষয়টি অন্যমাত্রা পেয়ে যায়। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে বাড়িতে পাঠানোয় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই চন্দ্রনাথের সাহসকে বাহবা দিতে শুরু করেন। এই অবস্থায় চিকিৎসকের রাজনৈতিক পরিচয় নতুন করে বিতর্ক তৈরি করবে বলে মনে হয়।